পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মানুষের ভিড়

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মানুষের ভিড়

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে কঠোর লকডাউনের আগে এখনো ফেরিতে পার হচ্ছে মানুষ। তারা মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। মহাসড়ক ও বিভিন্ন স্থানে ভোগান্তিসহ ১০ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসার অভিযোগ। চেকপোস্ট ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে।

বুধবার (৩০ জুন) ভোর থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে বিভিন্ন পুলিশের চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে ঘাটে আসেন অনেকে। ঘাট কর্তৃপক্ষ কোনো বাধা না দিয়ে ফেরিতে পার করছেন ছোট যানবাহনও। নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই। মাস্কও পরছে না অনেকে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন যাত্রীরা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ২০টি ফেরি মধ্যে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।

শওকত তিনি আশুলিয়া একটি কারখানায় ছোট কাজ করেন। ১ জুলাই থেকে বন্ধ থাকবে কারখানা এ জন্য আগে ভাগে ১০ গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে ঘাটে এসে যশোর যাচ্ছেন নিজ বাড়িতে। তারপরও কপালে চিন্তার ভাঁজ। লকডাউনে তার সংসারে নেমে এসেছে কষ্ট।

হানিফ ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করেন। বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। তিনি রাত ১১টায় ঢাকা থেকে রওয়া হয়েছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। গাড়ি না পেয়ে অনেক স্থান হেঁটে ও রিকশায় এবং ট্রাকে এসেছেন। বাড়িতে একমাত্র মা অসুস্থ থাকায় যেতেই হবে। এ ছাড়া কঠোর লকডাউনে বের হওয়া যাবে না। এ মধ্যে চা বিক্রি হবে না। তাই এ যাত্রা।

প্রাইভেটকার চালক আলগীর জানান, পেটের তাগিদে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হয়েছেন। তাই মহাসড়কে চেকপোস্ট থাকায় পাটুরিয়া ঝিটকা হয়ে হরিরামপুরের বেড়িবাঁধ দিয়ে পুলিকে ফাঁকি দিয়ে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছেন।

ঘাটের এজিএম মো. জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া ও আরিচাতে ২০ ফেরি রয়েছে। আর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে ১৫ ফেরি চলাচল করছে।