জেলে বসেই ডেসটিনি রফিকুলের নতুন এমএলএম ব্যবসা

জেলে বসেই ডেসটিনি রফিকুলের নতুন এমএলএম ব্যবসা

কথায় আছে, কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না। ডেসটিনির রফিকুল আমীনের অবস্থা অনেকটা তেমনই। গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে আছের কারাগারে অথচ সেখানে বসেই খুলেছেন নতুন এমএলএম কোম্পানি ডিটুকে।

মাত্র চল্লিশ মিনিট দিলেই অংশগ্রহণকারীদের ভবিষ্যৎ পাল্টে দেবেন রফিকুল আমিন। এমন বক্তব্য যখন তিনি দিচ্ছেন তখন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে । এক দুটি নয় সাম্প্রতিক সময় এমন ৬টি জুম মিটিং কারাগারে বসে সেরেছে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন। এসব জুম মিটিংয়ে সবগুলোর অডিও ভিডিও এসেছে চ্যানেল 24 এর হাতে।

সবচেয়ে বিস্ময়ক হলো ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ ফেরত না দিয়ে খুলেছেন আরেকটি নতুন এমএলএম কোম্পানি। যার নাম ডিটুকে। আর কারাগারে বসেই এ ব্যবসার মনিটরিং, মিটিং সবই আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মত করে যাচ্ছেন রফিকুল আমীন। প্রত্যেক মিটিংয়ের শুরুতে তিনি যখন কথা বলেন তখন তার বক্তব্য একজন মোটিভেশনাল স্পিকারের মতই শোনায়। বোঝাই যায় না এই ব্যক্তিটি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

আদালতের রায় অমান্য করে অস্তিত্বহীন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করছেন, সেই সাথে যোগাযোগ রয়েছে ডেসটিনির বিদেশে পলাতক কর্মকর্তাদের সাথেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে অংশগ্রহন কারী জানালেন বিস্তারিত।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার বললেন ঘটনাটি তারা শুনেছেন, যদি এমন হয় তাহলে অবশ্যই তারা ব্যবস্থা নেবেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী বলছেন কারাগারে বসে এমন অর্থপাচারের ঘটনা একটি নতুন নজির। এটি অবশ্যই অপরাধ। বিষয়টি প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের নজরে আনা হবে।

ডিটুকে অ্যাসেসিয়েটের যে লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের দেখানো হয়েছে তাতে ভবিষ্যতে এমন মিটিং আরও হয় কিনা সেদিকে নজর রাখা উচিত বলে মনে করেন এই আইনজীবী।