লকডাউন নামক বাস্তবতার কাছে ধরাশায়ী নিম্ন-মধ্যবিত্তের জীবিকা

লকডাউন নামক বাস্তবতার কাছে ধরাশায়ী নিম্ন-মধ্যবিত্তের জীবিকা

অদৃশ্য ভাইরাসের কাছে বারবারই বন্দি হচ্ছে যাপিত জীবন। লকডাউন নামক বাস্তবতার কাছে তাই ধরাশায়ী নিম্ন-মধ্যবিত্তের জীবিকা। বিধিনিষেধ যতো কঠোরই হোক, তারা পথে নামে অন্নের সন্ধানে। কিন্তু, ভোগান্তি আর অসহায়ত্বের এই বন্দিজীবন আর কতোদিন?

বিমানবন্দর সড়কের ফুটপাত ধরে চলেছেন ৮০ বছরের মমতা বেগম। যার নেই নিজের থাকার জায়গা। গতকাল ছিলেন কমলাপুরে বড় মেয়ের বাসায়। সকালে বেরিয়ে পড়েছেন ছোট মেয়ের বাড়ি আব্দুল্লাহ পুরের উদ্দেশে। ২২ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে।

কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধের বাইরে সিদ্দিকুর রহমানের অযান্ত্রিক বাহন। তাই, সাতসকাল থেকে ছুটেছেন জীবিকার খোঁজে। কিন্তু, গোটা নগরী যখন অচল, তখন তার ঠেলাগাড়ি সচল থেকেও হচ্ছে না লাভ।

রাজধানীর আজমপুরে ভোর থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন তারা। কিন্তু, কাজ না জোটায় ঘরে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। গত এক বছরে দফায়-দফায় লকডাউনে এই কঠিন বাস্তবতা দিশেহারা দিনমজুররা।

লকডাউনের নির্দেশনা মোতাবেক যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা, কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কথা তাদেরই। কিন্তু, বাস্তবতা তা নয়। গাড়ির জন্য কর্মজীবীদের এমন পেরেশানি দেখা যায় বিভিন্ন সড়কে।

পরপর কয়েকটি লকডাউন কার্যকর না হওয়ায় ঘোষণা ছিলো পয়লা জুলাই থেকে শুরু হওয়া লকডাউন হবে কঠোর। হচ্ছেও তাই। সবধরনের শপিং মল, মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ।

লকডাউন মানাতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। চেকপোস্টে শুধু ছাড় পাচ্ছে পণ্যবাহী ও জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়ি। আইন লংঘন ও অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসায়, গ্রেপ্তার ও মামলার মতো শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন অনেকেই।

দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই যাত্রায় কঠোর লক ডাউন চলবে এক সপ্তাহ।