অফিস-আদালত খোলা, চলছে গণপরিবহণ

অফিস-আদালত খোলা, চলছে গণপরিবহণ

ঈদুল আজহার পর টানা ১৯ দিনের বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ শেষে আজ বুধবার থেকে মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে গণপরিবহণ। এদিন সচিবালয়, সরকারি-বেসরকারি অফিস, সুপ্রিমকোর্ট ও নিম্ন আদালত এবং দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু উন্মুক্ত হলেও সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধান এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি নিশ্চিত করতে কঠোরতা দেখাবে সরকার।

সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শপিংমল ও গণপরিবহণ চালু রাখার অনুমতি দিয়ে গত রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মোট পরিবহণের অর্ধেক সংখ্যক চলাচল করবে। প্রতিটি জেলায় স্থানীয় প্রশাসন অর্ধেক বাস চলাচলের সংখ্যা ঠিক করবে, দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। দুই আসনে এক যাত্রী এবং ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির বিধানও থাকছে না। অর্থাৎ স্বাভাবিক সময়ের ভাড়ায় ফিরেছে গণপরিবহণ।

করোনা রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। ঈদের সময় আট দিন বিরতি দিয়ে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এই সময়ে গণপরিবহণ, অফিস ও দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। তবে এরই মধ্যে গত ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বিধিনিষেধ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১১ আগস্ট থেকে অফিস-আদালাত ও দোকানপাট চালুর পাশাপাশি নির্দিষ্ট রুটে অর্ধেক সংখ্যক গণপরিবহণ চলবে। তবে, আসনের সমপরিমাণ যাত্রী বহন করতে পারবে সড়ক পথের গণপরিবহণ তথা বাস। কিন্তু, অর্ধেক সংখ্যক বাস চলা নিয়ে নানা সমালোচনাও সৃষ্টি হয়েছে।

বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ার কথা জানানো হয়।

যা মানতে হবে

১. সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে।

২. সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবেন।

৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ ও যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহণ চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহণ সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

৪. শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে।

৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।

৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

৭. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

৮. গণপরিবহণ, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট, বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।