‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ নামে বিভাগ চান হাসিনা

‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ নামে বিভাগ চান হাসিনা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘মেঘনা’ ও ‘পদ্মা’ নামে আরও দুটি বিভাগ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিপ্রায়ের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

প্রস্তাবিত বিভাগ দুটির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় এক হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার সময় কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ করার ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘এ সময় কুমিল্লা ও ফরিদপুরের নামে বিভাগ না করে দেশের বৃহত্তর দুটি নদী মেঘনা ও পদ্মার নামে বিভাগ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী’, যোগ করেন ড. শামসুল আলম।

বাংলাদেশের অন্যতম মেঘনা নদী ঘিরে রয়েছে কুমিল্লা অঞ্চল। ফলে বৃহত্তর কুমিল্লার কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা বিভাগ’ করার ব্যাপারে আগেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সরকারপ্রধান। আর বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অবস্থান অন্যতম পদ্মা নদী ঘিরে। ফলে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের জেলাগুলো নিয়ে ‘পদ্মা বিভাগ’ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি সুইজারল্যান্ড-ইংল্যান্ডেও হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণে সমস্যা হয়। অনেকে জমি দিতে চায় না। এটা চলমান সমস্যা। তারপরও প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। আমার পরিচিত একজন সুইজারল্যান্ডে থাকেন, তিনিও বলেছেন তাঁর স্থানীয় একটা রাস্তার কাজ দুই থেকে তিন বছরেও শেষ হচ্ছে না। একই অবস্থা ইংল্যান্ডেও।’

এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আরও বলেন, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে ইসলামিক শিক্ষা দিতে হবে। যেন যুবকরা জঙ্গিবাদে ঝুঁকে না পড়ে। এ ছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণাঞ্চলে বেশি করে ধান চাষ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। ভালো হতে হবে কাজের মান। যে টাকা ব্যয় হয় তা যেন যথাযথভাবে ব্যয় হয়।