৩১ ডিসেম্বরই শেষ বৈধকরণ ও দেশে প্রত্যাবর্তন, মালয়েশিয়া বিমান বন্দরে চরম ভোগান্তি

৩১ ডিসেম্বরই শেষ বৈধকরণ ও দেশে প্রত্যাবর্তন, মালয়েশিয়া বিমান বন্দরে চরম ভোগান্তি

চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া এবং নিজ নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সাধারণ ক্ষমা। এ কারণে শেষ সময়ে এসে কুয়ালালামপুর (কেএলআই) বিমানবন্দরে প্রচন্ড ভিড় দেখা গিয়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন জটিলতার কারণে অভিবাসীদের চরম ভোগান্তি। প্রতিদিন ১৫০ জন অভিবাসী বা ১০০ জনের মধ্যে ৪০ জনই বিমানের টিকিট কেটেও তারা বিমান মিস করছে।

বৃহস্পতিবার( ২৩ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়া জাতীয় গণমাধ্যম দ্য ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

অনেকে টিকা না দেওয়ার কারণে তাদের বিমানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ একটি দায়িত্বশীল সুত্র বলেছে টিকা না দিলেও সিভিল অ্যাভিয়েশন ও বিমানের নিদিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে এবং দেশে গিয়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার শর্তে বিমানে যাত্রা করে নিজ দেশে যাওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে সেটাও মানা হচ্ছে না।
টিকা না দিলে ফেরত দিচ্ছে যাত্রীদের।

ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে আরো জানায়, আন্তর্জাতিক (কেএলআই) বিমানবন্দরে দেশে ফেরার অপেক্ষায় শত শত অবৈধ অভিবাসী। যাদের অনেকেই অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিজ দেশে ফেরার প্রয়োজনীয় অনুমোদন এখনও পায়নি, যার ফলে তারা তাদের ফ্লাইট মিস করছে।

তাদের মধ্যে অনেকেই কেএলআইএ-তে আটকে আছে কারণ তারা ইমিগ্রেশন বিভাগের পুনঃনির্মাণ রিটার্ন কর্মসূচির অধীনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে যা ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। ১৩ মাস আগে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির অধীনে, নথিবিহীন অভিবাসীদের বেশ কয়েকটি মানদন্ড পূরণ করার পরে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এই প্রোগ্রামটি ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে, সময়সীমার আগে প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী দেশটির বিমান বন্দরে অপেক্ষমান রয়েছেন ।

অনেকেই বলেছেন, এই মূহূর্তে মালয়েশিয়ার অভিবাসন চাপ সামলাতে অক্ষম। "কেএলআইএ-তে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের প্রক্রিয়া করার জন্য বিশটি কাউন্টার স্থাপন করা হলেও মাত্র ১০টি কাজ করছে।

“অভিবাসন বিভাগ জানত পুনঃনির্মাণ কর্মসূচির শেষ মাসে, প্রচুর সংখ্যক লোক প্রস্থান করতে চাইবে। তাদের প্রস্তুত করা উচিত ছিল।” অবৈধ অভিবাসীরা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন কিন্তু তবুও অনেকে ফ্লাইট মিস করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মালয়েশিয়ার আইনকে সম্মান করেছিলেন এবং পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করেছিলেন কিন্তু এখন বাড়ি ফিরতে না পারায় অভিবাসীরা ব্যথিত। অনেকে বিমান বন্দরেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন।

অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছে, তাদের মধ্যে শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাও রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে অবস্থাদৃষ্ঠে মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া ও সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আবারও বাড়ানো হতে পারে। তবে মেয়াদ বাড়ানোর কোন ঘোষণা আসেনি।