ওমিক্রনে আক্রান্ত বেড়েছে ২০ গুণ, মৃত্যু ৪ গুণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ওমিক্রনে আক্রান্ত বেড়েছে ২০ গুণ, মৃত্যু ৪ গুণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে বর্তমানে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ গুণ বেড়ে গেছে। আর মৃত্যু বেড়েছে ৪ গুণ। বিষয়টিকে আশঙ্কাজনক হিসেবে আখ্যা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে। মৃদু বলে, হালকা বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, লাগাম টানতে হবে এ সংক্রমণের।’

রোববার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ভ্যাকসিন দেওয়ার কারণেই এখন মৃত্যু হার কম। অনেকেই পরীক্ষা করাচ্ছেন না। উপসর্গ নিয়ে ঘরেই থাকছেন। সেক্ষেত্রে আক্রান্তের হার আরও বেশি হবে বলেও জানান জাহিদ মালেক।

বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়সসীমা আরও কমিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরবর্তীতে কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। এবার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।’

সরকার গত মাস থেকে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না বলে জানান মন্ত্রী।

চলতি মাসে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। যদিও মোট লক্ষ্যমাত্রা আছে সাড়ে ১২ কোটি। এছাড়া মানুষ টিকা নিতে এখন কম আসছেন।

১২ বছরের ওপর সবাইকে টিকা দেওয়া হবে এ কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনসন থেকে পাওয়া সিঙ্গেল ডোজের টিকা ভাসমান মানুষকে দেয়া হবে। বলেন, পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে। ৯ কোটি হাতে আছে। আরও ৫ কোটি আসার প্রক্রিয়ায় আছে। আবার নিজেদের দেশে টিকা তৈরির কাজ চলছে।