‘ভাতের বিনিময়ে’ পড়াতে চাই

সেই যুবককে খুঁজছে পুলিশ

সেই যুবককে খুঁজছে পুলিশ

বেকারত্ব আর ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো- ‘দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ বিজ্ঞাপনে লিখে এবার বিপদেই পড়েছেন আলোচিত সেই যুবক। তার বিজ্ঞাপনের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর সরব হয়েছে দেশি-বিদেশি মিডিয়া। তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপনদাতা মোহাম্মদ আলমগীর কবিরের মুঠোফোন নম্বরটি এখন বন্ধ রয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, বিজ্ঞাপনদাতা যুবকের এর পেছনে কি উদ্দেশ্য ছিল সেটা জানতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি কি আসলেই সাহায্য প্রার্থী না কি আলোচনায় আসতে এটা করেছেন এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ইতোমধ্যে সমাজের বিভিন্ন বিত্তবান ব্যক্তিরা তাকে সাহায্য করতে চেয়েছেন। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ঘটনার পর তাকে নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো. সরাফাত ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, বিজ্ঞাপনটি দেখার পরপরই আমরা তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে মানবিক মনে করে তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তার বিষয়ে কেউ বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, বিজ্ঞাপনদাতা যুবকের এর পেছনে কি উদ্দেশ্য ছিল সেটা জানতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি কি আসলেই সাহায্য প্রার্থী না কি আলোচনায় আসতে এটা করেছেন এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত তার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এর আগে বগুড়া শহরের জহুরুলনগরের আশেপাশের এলাকায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের গণিত ছাড়া সব বিষয় পড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন দেন আলমগীর। শহরের বিভিন্ন দেয়ালে, ইলেকট্রিক লাইনের খুঁটিতে দেখা যাচ্ছে সাদা এ-ফোর সাইজের কাগজে কালো কালিতে প্রিন্ট করা বিজ্ঞাপনটি।