রমজানের দ্বিতীয় দিনেও তীব্র যানজট রাজধানীতে

রমজানের দ্বিতীয় দিনেও তীব্র যানজট রাজধানীতে

রমজানের দ্বিতীয় দিনেও যানজটে অতিষ্ঠ নগর জীবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যানজটের পরিধিও।

সকাল থেকেই অফিসগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অসহনীয় যানজটে ভুগতে হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে যানজট ভোগান্তিও বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে সড়ক উন্নয়নে মেগ প্রকল্পের কাজ চলছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে সড়ক খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে সড়কে গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ার কারণে যানজট বাড়ছে।

সোমবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর গুলশান-বনানী, মহাখালী, সাতরাস্তা, বাড্ডা, রামপুরা, বিজয় স্মরণী, জাহাঙ্গীর গেট, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মতিঝিলসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট থাকতে দেখা যায়।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইদুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন যানজটে সাধারণ মানুষের এতো কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু এই যানজট নিরসনে সরকারের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সড়কে ফিটনেস, লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রিশন ছাড়া যানবাহনও চলছে। এতে ট্রাফিক পুলিশের কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই।

তিনি বলেন, এছাড়াও মানুষ ট্রাফিক আইন মানছেন না, এতেও যানজট বাড়ছে। কিন্তু কিন্তু প্রশাসন চাইলেই সবাইকে ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করতে পারে। কিন্তু যানজট নিয়ে প্রশাসনের কারও যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই।

তিনি বলেন, সকালে বাসে উঠে ৩ ঘণ্টায় কারওয়ান বাজারে অফিসে পৌঁছেছি। গরম ও জ্যামে বসে থাকতে আমাদের কেমন লাগে তা ওই প্রসাশনের লোকেরা বুঝবে না। কারণ তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে এসি চলে। তাই ভোগান্তি সব সাধারণ মানুষের কপালেই লেখা।

এদিকে মামুন রহমান নামে আরেক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, সরকার, প্রশাসন ও ট্রাফিক চাইলে সড়কে সবাই নিয়ম মেনে যানবাহন চালাতে ও সড়ক ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু তারা তা করছে না।

তিনি বলেন, উত্তরা এলাকায় রাস্তার কাজ চলছে, এই সুযোগে কাটা ডিভাইডারকে ইউটার্ন বানিয়ে ফেলছেন প্রাইভেটকার চালকরা। এদিকে যানবাহনগুলো নিয়ম অনুযায়ী চলাচল না করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে যাত্রী-পথচারীরা জানান, বেশ কয়েকটি মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে মেট্রো রেলের কাজ চলছে উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মিরপুর রোকেয়া সরণি হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, পল্টন, মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত সড়কে। এ কারণে রাস্তাগুলো অনেকটা সরু হয়ে গেছে। এই সরু রাস্তায় যানবাহন চলাচল খুব ধীরগতিতে হচ্ছে।

অপরদিকে, রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়ছে। পাশাপাশি ওই এলাকার রাস্তা বাস, ট্রাক, পিকআপ পার্কিং করে আটকিয়ে রাখা হচ্ছে। এগুলো নিরসন ও অপসারণে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। আর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের কাজ গত ১০ বছর ধরেই চলছে।