ডিজিটাল হাজিরা মেশিনের ৯০ ভাগই বিকল, সরকারের কোটি টাকা গচ্ছা

ডিজিটাল হাজিরা মেশিনের ৯০ ভাগই বিকল, সরকারের কোটি টাকা গচ্ছা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০১৯ সাল থেকে ডিজিটাল হাজিরার পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দেয় সরকার। সে মোতাবেক বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হয় নোয়াখালীর সদরের ১৯৮টি স্কুলে।

কিন্তু, তিন বছর না ঘুরতেই ৯০ ভাগ ডিভাইজই বিকল। আর বাকিগুলোর নেই কোনো ব্যবহার। একই অবস্থা বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জসহ অন্য উপজেলাগুলোতেও।

স্কুলের বাৎসরিক থোক বরাদ্দের টাকা থেকেই কেনা হয়েছিলো এসব ডিজিটাল ডিভাইস। কিন্তু অনুসন্ধানে বলছে, স্ব-স্ব উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশকৃত লোকদের কাছ থেকেই কিনতে হয়েছে মেশিন। যেখানে বাজার মূল্য ৮ হাজার হলেও দিতে হয়েছে ১৭ থেকে ২১ হাজার টাকা।

সরকারি অর্থের এমন অপচয় নিয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। আর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান বলেন, কেন চালু হল না বা সেগুলোর গুনগত মান কেমন তা আমরা এখনই বলতে পারছি না। তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

স্কুলে বায়োমেট্রিক মেশিন ঘিরে দুর্নীতি ও অপচয়ে বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চান স্থানীয়রা।