বানভাসিদের ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ এনজিও কর্মীদের

বানভাসিদের ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ এনজিও কর্মীদের

বানের পানিতে সহায় সম্বল হারিয়ে বেঁচে থাকাই যেখানে মুশকিল, সেখানে মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঋণের কিস্তি পরিশোধ। এ নিয়ে সিলেটে বানভাসি মানুষের সঙ্গে এনজিও কর্মীদের বাকবিতণ্ডা চলছে প্রায় প্রতিদিনই।

সিলেটে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফেরা বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে কিস্তি পরিশোধে চাপ দিচ্ছেন এনজিও কর্মীরা। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবেমাত্র নিজ বাড়িতে ফিরেছেন বানভাসী মানুষ। হারিয়েছেন সহায় সম্বল। এই পরিস্থিতিতেও ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন এনজিও কর্মীর।

নিজেদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকাটাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ সেখানে ঋণের কিস্তি পরিশোধে দিশেহারা বন্যার্ত মানুষ। তাই কয়েক মাস জন্য কিস্তি স্থগিত করার দাবি তাদের।

তবে বন্যা দুর্গতদের ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এনজিও কর্মকর্তারা।

সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, তিন মাস ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধে শিগগিরই একটি আদেশ দেয়া হবে।

সরকারি হিসাবে, চলতি বন্যায় সিলেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার ঘরবাড়ি। ফসল, গবাদি পশু ও আসবাবপত্রের ক্ষতিও সীমা ছাড়িয়েছে। আর এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়ে গেছেন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।