নির্বাচনের সময় বেশি দিন নেই: কাদের

নির্বাচনের সময় বেশি দিন নেই: কাদের

নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন নির্মাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিমানবন্দর থানার বিভিন্ন ইউনিট ও ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য রাজনীতি করে না, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় বেশি দিন নেই, তাই এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

রাজপথে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। তাহলে আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা বিদ্যুতের বদলে খাম্বা দিয়েছিল, তাদের মুখে বিদ্যুতের কথা বলা মানায় না।’

সংখ্যালঘু নির্যাতনের রেকর্ড এদেশে একমাত্র বিএনপির, এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা, নির্যাতন চালিয়েছিল তার নজির আর নেই।’

‘বর্তমান সরকারের শাসনামলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদ নয়’—বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুনলে মনে হয়—‘বানরে সংগীত গায়, শিলা জলে ভাসে।’’

প্রতিদিন কোনও না কোনও বিষয়ে মিথ্যাচার করা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা দেশের জন্য কী উন্নয়ন করেছেন, যা থেকে জনগণের কাছে ভোট চাইবেন।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ উন্নয়ন ও কাজ চায়, শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও কাজ করে যাচ্ছেন। তাই জনগণ শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আর বিএনপির মন খারাপ।’

উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সংসদ সদস্য মো. হাবিব হাসান প্রমুখ।