বাংলাদেশকে নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশকে নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশে-বিদেশে বাংলাদেশকে নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যতদিন দায়িত্বে থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অল্প দিনে এতসব অর্জন করলেন, আমাদের জাতিকে দিকনির্দেশনা দিলেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম— সবক্ষেত্রে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তার দিকনির্দেশনা অনুকরণ করে আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছেন। এ অবস্থায় বহু রকম ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারণে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন রকমের প্রচারণা শুরু করেছে।’

দেশের প্রচারণার বিরুদ্ধে সহকর্মীদের সতর্কতার বার্তা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সহকর্মীদের আহ্বান করব যে, এই যে প্রচারণা, ষড়যন্ত্র চলছে, সাবধান। এ ষড়যন্ত্র আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। পদে পদে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যেটা ৭৫ সালে আমরা দেখেছি। বারবার এই প্রচেষ্টা। এখন কিন্তু সেই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

মোমেন বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা পদ্মা সেতুর মতো কঠিন সেতু নিজের পয়সায় করেছি। বঙ্গবন্ধু যখন দেশে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়ে দেশের অভাব অনটন দূর করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তখনই কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যা করে। আর আমাদের গতিপথকে… উনি বেঁচে থাকলে আমরা হয়ত বহু আগে একটা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতাম।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ওনার (বঙ্গবন্ধু) কন্যা (শেখ হাসিনা) আমাদের দেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর ২০৪১ সালে স্বপ্নের সোনার বাংলা উন্নত সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল অর্থনীতি, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, সেবা, স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে। এই প্রচেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় বহু রকম ষড়যন্ত্রকারী বাংলাদেশের উন্নয়নের কারণে প্রচারণা ও ষড়যন্ত্র করছে।’

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘আমি যতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছি, ততদিন অবশ্যই খুনিদের ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমাদের একটা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আছে, যারা অনেক দিন ধরে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত (বঙ্গবন্ধু হত্যা) ছিল তাদেরও বিচারের জন্য একটা আন্দোলন শুরু করেছি।’

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং শেখ পরিবারের জ্যৈষ্ঠ সদস্য শেখ কবির হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মজিদ খান এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, লেখক ও ঔপন্যাসিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বক্তব্য দেন।