জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গুম-খুনের তদন্ত দাবি বিএনপির

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গুম-খুনের তদন্ত দাবি বিএনপির

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃম্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারকে একটি আলাদা কমিশন গঠন করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনাগুলো তদন্ত করার সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেট। তাদের দেয়া বিবৃতিতে যা উঠে এসেছে সেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্ত চাই, জড়িতদের বিচার চাই।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা কোথায় কী শুনেছেন, অদ্ভুত কাণ্ড! গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ম্যাডামের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, তিনি ভালো আছেন। তার প্রতিটি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো। টেস্টে কোনো সমস্যা নেই। এখন পর্যন্ত তিনি হাসপাতাল থেকে যেমন এসেছিলেন তেমনি আছেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের বক্তব্য ঢাকা দিতে আরেকটা ইস্যু তৈরির উদ্দেশ্য ছিল। এগুলো তাদের বহু পুরনো খেলা।

বিএনপি’র থানা পর্যায়ের নেতারাও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন। মিথ্যাটা এ জন্যই প্রচার করা হয়েছে। যেন বিভ্রান্ত করা যায়, ইস্যুটাকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া যায়।

‘মানবাধিকার ইস্যুতে বিএনপি যতগুলো অভিযোগ করেছে সবকিছু রাজনৈতিক’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা কি এ কথা স্বীকার করবে? ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গুম ও অপহরণের বিচার করার ক্ষমতা জাতিসংঘের নেই। এ বক্তব্যে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, এগুলো সংঘটিত হয়েছে। এতেই বোঝা যায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে।

বিশৃঙ্খলা করলে বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলা করা হবে, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে ফখরুল ইসলাম বলেন, এমন হুমকি সন্ত্রাসের শামিল।

দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি’র মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এত দিন গুম-খুনের বিষয়ে বিএনপি যে কথাগুলো বলে আসছে, তারই প্রমাণ মিলেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মন্তব্যে। এটাই দেশের বাস্তবতা।

বাংলাদেশে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই- দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকার পদত্যাগ না করবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করবে, সংসদ বিলুপ্ত না হবে- ততক্ষণ পর্যন্ত সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।