ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী

কী পেলাম সেটা আপেক্ষিক, ভাগ্যিস প্রশ্ন করেননি কী দিলাম?

কী পেলাম সেটা আপেক্ষিক, ভাগ্যিস প্রশ্ন করেননি কী দিলাম?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের (বাংলাদেশের) সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মুক্তিযুদ্ধকালে সহযোগিতা এবং ভাষা ও সংস্কৃতির মিলের কারণে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

ভারত সফর নিয়ে আজ বুধবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এই সফর দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সম্মতি এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারত সমৃদ্ধশালী দুই দেশে পরিণত হবে বলে মনে করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতে খুব ভালো অভ্যর্থনা পেয়েছি। নিজে ভালো হলে সব ঠিক। আর যদি এদিক-ওদিক করেন তাহলেতো..।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী পেলাম- প্রশ্নটা কিন্তু আপেক্ষিক। ভাগ্যিস প্রশ্ন করেননি যে, কী দিলাম? বাংলাদেশের প্রায় চারপাশ দিয়েই কিন্তু ভারত। একেবারে শূন্য হাতে এসেছি তা নয়। এটা আসলে মনের ব্যাপার। যেমন বাংলাদেশে এত কাজ করার পরেও বিএনপি বলে কিছুই করিনি।

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুটিংয়ের পর এখন এডিটিং চলছে। ৭ই মার্চের ভাষণের দৃশ্য অভিনয় করে দেখালে মানুষের এটা নিতে একটু অসুবিধা হয়। কিন্তু কাউকে না কাউকেতো অভিনয় করতে হবে। এটা যখন সিনেমা একে সিনেমা হিসেবেই দেখতে হবে। অভিনেতারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এডিটিং শেষ হলে একটা ভালো সময় দেখে এটা আসবে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পায়।