ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগের রিট মামলা দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান মানবজমিনকে বলেন, খুব শিগগিরই মহামান্য হাইকোর্টে শুনানি হবে। রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানি যোগ্য পণ্য নয়। তাই রিট মামলায় এই ইলিশ মাছ স্থায়ীভাবে রপ্তানি বন্ধের আবেদন করা হয়েছে। মামলায় পর্যটন কর্পোরেশনকে ইলিশ মাছ কেন্দ্রিক পর্যটনের বিকাশে কাজ করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে ভারতে কম দামে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ ঘোষণা চাওয়া হয়েছে এবং ভারতে ইলিশ মাছ স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, ইলিশ মাছ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বেও অত্যাধিক দামের কারণে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই ইলিশ মাছ কিনার কথা চিন্তাও করতে পারে না। অন্যদিকে দেশের মধ্যবিত্ত জনগণও এই ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দরিদ্র কৃষকরা দুই মণ ধান বিক্রি করেও এক কেজি ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন না। ইলিশ মাছের দাম ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে গিয়ে ঠিকেছে। অপরদিকে বাংলাদেশের এই ইলিশ মাছ ভারতে মাত্র ১০ ডলার (প্রায় ৯৫০ টাকা) কেজি দরে রপ্তানি হচ্ছে।

অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজার মূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।
রিটে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সংবিধান লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনসাধারণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। অপরদিকে জনগণের স্বার্থে সর্বদা নিয়োজিত থাকা বিবাদীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। দেশের বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করার মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্টরা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তারা দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ধ্বংস করেছেন এবং জনগণের স্বার্থ বিরোধী কাজ করেছেন।