বিক্ষোভের ডাক যুবদলের

পুলিশের গুলিতে নিহত শাওনের জানাজা সম্পন্ন, লাশ পল্টনে নিতে বাধা

পুলিশের গুলিতে নিহত শাওনের জানাজা সম্পন্ন, লাশ পল্টনে নিতে বাধা

মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম শাওনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ মাগরিব পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজে শেষে সাওনের মরদেহ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কার্যালয়ের সামনে আসে।

শাওনের মৃত্যুর প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার বিকাল তিনটায় নয়াপল্টনে যুবদল বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

জুমার পর জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও মাগরিবের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী উলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক জানাজা পরিচালনা করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার জুমার পর নয়াপল্টনে শাওনের জানাজা সম্পন্ন হবে। কিন্তু মরদেহ হস্তান্তরে দেরি হওয়ায় আসরের নামাজের পর সময় নির্ধারিত হয়। তখনও মরদেহ না পাওয়ায় জানাজা হয়নি। এরপর মাগরিবের নামাজের পর শাওনের জানাজা সম্পন্ন হয়।

শাওনের মরদেহ হস্তান্তরে দেরি হওয়ায় বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিকেল ৫টা থেকে শুরু করে ৬টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তারা বলেন, বারবার যোগাযোগ করলেও সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দেশে মরদেহ হস্তান্তর করতে দেরি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শাওনের মরদেহ নয়াপল্টনে নিতে পুলিশের বাধা প্রসঙ্গে তার ভাই সোহানুর রহমান সোহান বলেন, 'আমরা ভেবেছি শাওনের মরদেহ প্রথমে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেবো। পরে সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জে বাড়িতে নিয়ে যাব।'

'কিন্তু পুলিশ বলছে এখান থেকে মরদেহ সরাসরি মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যেতে। নয়াপল্টনে নেওয়ার কথা বললে তারা জানিয়েছে, তাহলে ভাইয়ের লাশ দেওয়া হবে না,' যোগ করেন তিনি।

জানাজাপূর্বক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে সাওন হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে।

তিনি বলেন, শাওনের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। সরকার পতনের মধ্য দিয়ে সাওন হত্যার বিচার নেবো। সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

জানাজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা অংশ নেন।

জানাজা শেষে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় মশাল মিছিল করে।