সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ৪০ টাকাও বেড়েছে

সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ৪০ টাকাও বেড়েছে

এক সপ্তাহের ব্যবধানে শিম ও গাজরের দাম ৪০ টাকা বেড়ে যথাক্রমে ১৮০ ও ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।। এক সপ্তাহ আগে শিম ও গাজরের কেজি ছিল যথাক্রমে ১৪০ ও ১২০ টাকা।

আজ শনিবার কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বেড়েছে বেগুন ও করলার দামও। আজ প্রতি কেজি লম্বা জাতের বেগুন ৮০ টাকা ও গোল বেগুন (সাদা) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। ১ সপ্তাহ আগে লম্বা জাতের বেগুন ৬০ টাকা ও গোল বেগুন (সাদা) বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। ৩ সপ্তাহ আগে লম্বা বেগুনের দর ছিল ৪০ টাকা ও গোল (সাদা) বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। প্রতি ডজন মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা হয়েছে।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে। ৩ সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল যথাক্রমে ১৭০ ও ৩০০ টাকা।

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ও পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ধুন্দল, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। টমেটোর কেজি ১২০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনসার আলী (৪৫) বলেন, 'বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কম। চাহিদা বেশি। তাই কিছু কিছু সবজির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।'

সরকারি চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, '১ টাকাও আয় বাড়েনি। অথচ খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আগে যেখানে ২ কেজি সবজি লাগত, বাধ্য হয়ে সেখানে ১ কেজিতেই চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হয় বউ-বাচ্চাকে গ্রামে পাঠাতে হবে, নতুবা পুরো পরিবার গ্রামে চলে যেতে হবে।'

একটি বেসরকারি অফিসে কর্মরত খাদিজা আক্তারও মনিরুলের কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, 'সীমিত আয়ের মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছেন। অনেকেই খাবারের খরচ কমিয়ে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছেন। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে চলাটা মুশকিল হয়ে যাবে। ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে হবে।'

কারওয়ান বাজারে আজ অন্তত ৬ জন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সবাই জানিয়েছেন, সবজির বাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে তারা আগের চেয়ে কম পরিমাণে সবজি কিনে চাহিদা পূরণ করছেন।

ক্রেতারা কম কিনছেন বলে জানালেন সবজি বিক্রেতা জীবন ইসলামও। তিনি বলেন, 'আমাদের করার কিছু নেই। দাম বাড়তি, তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এখন বিক্রি কম হচ্ছে। যারা আগে ১ কেজি পটল কিনত, তারা এখন হাফ কেজি কিনছেন। প্রায় সবাই এখন আগের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ সবজি কিনছেন।'