বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের দায়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের দায়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

জ্বালানির অপ্রাপ্যতা, বিদ্যুৎ সরবরাহে চরম বিপর্যয়ের সকল দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি।

বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়।

এর আগে গত সোমবার অনুষ্ঠিত বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণের ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই দাবি উত্থাপিত হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যস্থাপনার কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের মদদপুষ্ট গুটিকয়েক কোম্পানিকে সকল সুবিধা প্রদান, ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন, দেশে গ্যাস উত্তোলনে অনীহা, স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি ক্রয় করা এবং সর্বোপরি অর্থ লুট করে বিদেশে পাচারের কারনে রিজার্ভের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। অনির্বাচিত সরকারের কোথাও জবাবদিহিতা না থাকায় নজিরবিহীন দুর্নীতি চরম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে।

স্থায়ী কমিটির সভায় নেতাদের আলোচনায় দেশের অর্থনীতির সামষ্টিক চিত্র তুলে ধরে বলা হয়- বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ২০২৩ সালে বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১১৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে এই ঋণ পরিশোধেই ব্যয় হবে ২৩ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতারা বলেন, অনর্বাচিত সরকারের গৃহীত তথাকথিত মেগা প্রজেক্ট এবং প্রয়োজন নয় এমন প্রকল্প গ্রহণ, সুষ্ঠ পরিকল্পিত নীতি ব্যতিরেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, আন্তর্জাতিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ঋণ গ্রহণ অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এর দায়ভার নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।

অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যক্রম 'বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নিগৃহীত মহিলা ভাতার জন্য নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করায় সভায় অনির্বাচিত সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়। সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠির সবচেয়ে অসহায় অংশ বয়স্ক ও বিধবা, স্বামী নিগৃহীত মহিলা। বর্তমান মূল্যস্ফীতির সময় এই কর্মসূচিতে নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করা অমানবিক। অবিলম্বে নতুন তালিকাভুক্তি শুরু করার দাবি জানানো হয়।

সভায় চলমান আন্দোলনের অংশ হিসাবে খুলনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশের বিষয়ে আলোচনা হয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পদে পদে বাধা, হামলা, পুলিশের গ্রেপ্তারকে উপেক্ষা করে সফল সমাবেশ সম্পন্ন করায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করা হয়। একইসঙ্গে আগামী সমাবেশগুলো সফল করার লক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানানো হয়।