পলাশে কার্ভাডভ্যান-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২

পলাশে কার্ভাডভ্যান-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২

নরসিংদীর পলাশে কার্ভাডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালকসহ চারজন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাদ হোসেন।

এর আগে রোববার বিকেলে ইটাখলা-গাজীপুর আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের সুলতানপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার বন্দগোয়ালিয়া গ্রামের আমিন মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০) ও নরসিংদীর বেলাব থানার হারিসাঙ্গান গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে ইলিয়াছ মিয়া (২৫)।

আহতরা হলেন- অটোরিকশাচালক গাজীপুর রাজেন্দ্রপুর থানার শ্রীপুর এলাকার নূরউদ্দিনের ছেলে আশরাফুল মিয়া (৩৫), রায়পুরা থানার পাহাড় মরজাল এলাকার মঞ্জুর আলীর মেয়ে সামসুরনাহার লিজা (২৫) তার ভাতিজা সায়মন (৬) ও ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার খলিল মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া (৩২)।

পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে গাজীপুর থেকে ৬ জন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা নরসিংদীর ইটাখলার দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে চরসিন্দুর থেকে একটি কার্ভাডভ্যান গাজীপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে অটোরিকশাটি ইটাখলা-গাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের সুলতানপুরে পৌঁছালে কার্ভাডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশার চালকসহ সব যাত্রী আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চালক আশরাফুল ও যাত্রী আলমগীরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক আলমগীরকে মৃত ঘোষণা করে আশরাফুলকে চিকিৎসা দেন। আর আহত ইলিয়াসকে নিয়ে যাওয়া হয় নরসিংদী সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম মিয়া বলেন, আমরা বিকট শব্দ শুনে গিয়ে দেখি একটি কার্ভাডভ্যান অটোরিকশাকে চাপা দিয়েছে। আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পলাশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাদ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা হাসপাতালে একজন ও সদর হাসপাতালে আরেকজন মারা গেছেন। ঘাতক কার্ভাডভ্যান চালক পালিয়ে গেলেও কার্ভাডভ্যান ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।