কিছুই ভাল লাগে না তাদের: সিপিডির সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

কিছুই ভাল লাগে না তাদের: সিপিডির সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

সিপিডির নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছুই ভাল লাগে না তাদের। তাদের ভাল লাগে কখন, যখন সেনা শাসন ছিল, যখন তত্ত্ববাবধায়ক সরকার ছিল তাদের একটু কদর বাড়ত। এই আশায় তারা বসে থাকে এটাই বাস্তবতা।’

বুধবার সংসদে বিএনপির রুমিন ফারহানা সম্পূরক প্রশ্নে একটি শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির প্রতিবেদন ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রজেক্টের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশে ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে খাবারের দাম সবচেয়ে বেশি। দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় থাকা ৪২টি দেশের একটি বাংলাদেশ।’ এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার কিছু লোক থাকে এবং সেইসব লোকের কথাই তিনি (রুমিন) বলেছেন। যে পত্রিকাগুলোর নাম নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে একটা পত্রিকা তিনি কখনও পড়েন না। কারণ তারা সবসময় উল্টো দিকে থাকে। এরা কখনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক তা চায় না। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তারা পছন্দ করে। নিজেদের কদর বাড়ানোর জন্য তারা এটা করে। আর যে প্রতিষ্ঠানটির কথা বলেছেন, তারা কোন জায়গা থেকে হিসাব পায় জানি না। এই হিসাব তাদের কখনোই সঠিক হিসাব হয় না। দাম বৃদ্ধির কথা তিনি অস্বীকার করছি না। আর দাম বেড়েছে বলেই ভর্তুকি দিয়ে স্বল্পমূল্যে যারা ক্রয় করার সক্ষমতা রাখে না তাদের দেওয়া হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকায় হেডলাইন দিয়েছে-সব দেশের থেকে বাংলাদেশে পণ্যমূল্য বেশি। কিন্তু ভেতরে যে ডাটা দিয়েছে সেখানে বাংলাদেশের হিসাবে আসে না। বাংলাদেশ কয়েকটা দেশ থেকেই ভাল অবস্থায় আছে। এরা কারসাজিটা এভাবেই করে। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে কিছু কিছু পত্রিকা এখন এমনভাবে একটা হেডলাইন করে যা বিভ্রান্তিকর। সঠিক তথ্য তারা দেয় না। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়।’

বৈশ্বিক মন্দার কারণে দেশের বর্তমান ক্রান্তিকালের সুযোগ নিয়ে বিরোধীরা অশান্ত রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে সংসদে অভিযোগ তুলেন শেখ হাসিনা।

বিএনপি-জাতীয় পার্টিসহ সব বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশ যখন ক্রান্তিলগ্নে পড়ে তখন তাদের মাঝে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না। বরং এই সুযোগ নিয়ে অশান্ত রাজনৈতিক পরিবেশ কীভাবে সৃষ্টি করা যায় সেটাই যেন তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাহলে অনুভূতিটা কোথায়? ক্রাইসিসের সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক অবস্থাকে ঘোলাটে করা; আর ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টার প্রবণতা পরিহার করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বললেন; আমার প্রশ্ন এখানে? দেশ যখন এমন ক্রান্তিলগ্নে পড়ে তখন বিরোধী দলে যারা আছেন; আমি সকলের কথা বলছি- তাদের মাঝে ওই উদ্বেগ দেখিনি। ঐক্যের কথা শুধু মুখে বললে হবে না। নিজ থেকে পাশে দাড়াঁতে হবে।’