ট্রলার-কার্গোতে বরিশাল যাচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

ট্রলার-কার্গোতে বরিশাল যাচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

বরিশালে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বরগুনা বাস ও মিনিবাস গ্রুপের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অন্য পরিবহনে গন্তব্যে যেতে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া। এদিকে পরিবহন ধর্মঘট থাকায় নৌপথে ট্রলার ও মালবাহী কার্গোতে করে বরিশাল যাচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো: ছগির হোসেন বলেন, সড়কে ইজিবাইক, নসিমন, টমটম, থ্রি-হুইলার, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

বাস মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: গোলাম কবির বলেন, বর্তমানে সড়কে যে আয় হয়, তাতে তেলের দাম, শ্রমিক বেতন এবং যন্ত্রাংশ ক্রয় করার টাকা পাওয়া যায়না। তারপর সড়কে অবৈধ যান চলাচল করলে একদিকে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে বাস মালিকদের টিকে থাকায় সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে আজকে অবরোধ ডাকতে হয়েছে।

বরগুনায় বাস যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। শুক্রবার দুপুরে বরগুনা টাউন হল বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় ঝালকাঠী জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার মো: শাহীন নামের এক যাত্রীর সাথে। তিনি বলেন, সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ইজিবাইক, টমটমসহ নানা যানবাহনে বরগুনায় পৌঁছাতে হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ের পাশাপাশি গুনতে হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া।

এ সময় কথা হয় শাহিদা বেগম নামে বেতাগীগামী এক যাত্রীর সাথে। তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি চলেনা, এখন ভাড়া বেশি-কম যা নেয়, আমাদের তাতেই যেতে হবে। তবে সমস্যা সমাধান করে দ্রুত বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

মো: নাসির উদ্দীন নামে এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, বাস বন্ধ থাকার কারনে আমরা অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে বসে আছি। তিনি আরও বলেন, আমরা দৈনিক কাজ করি এবং তা দিয়ে সংসার চলে। একদিন কাজ না করলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের খুবই কষ্টে চলতে হয়।

বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, আমরা বরিশাল সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ১০টি বাস ঠিক করে অগ্রিম প্রদান করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের চাপে বাস মালিকরা উক্ত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ৪ নভেম্বর থেকে বাস ধর্মঘট শুরু হলেও আমাদের ৩ নভেম্বরও বাস আসতে দেয়নি। তার দাবি, ট্রলার, কার্গো, মোটরসাইকেল এমনকি পায় হেটে হলেও বরগুনা থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী বরিশাল সমাবেশে যোগ দিবে এবং এসব নেতাকর্মীদের জন্য সমাবেশ মাঠে খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি মো: মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বলেন, এটা কোন পরিবহন ধর্মঘট নয়, শুধু বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে সরকার এসব ষড়যন্ত্র করছে। তার দাবি, পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে বিএনপির সমাবেশকে ঠেকিয়ে রাখা যাবেনা।