পিরোজপুরে বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে

পিরোজপুরে বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলটির পাঁচ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। হামলা ও বিস্ফোরক আইনে নাজিরপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি তারা। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তারা। জামিনের মেয়াদ শেষে এই পাঁচ নেতা আজ বৃহস্পতিবার পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মুহা. মুহিদুজ্জামান আসামিদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান ও এম আনোয়ারুল ইসলাম এবং ঢাকার জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি হিরুয়ার রহমান মোল্লা। তাঁদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম খানকে প্রধান আসামি করে ১০০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে স্থানীয় থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে দেশব্যাপী লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে তিন নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে নাজিরপুর উপজেলার বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ যোগ দিতে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অথচ কৃষক লীগের এক নেতা বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন।