গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠনের সমন্বয়কের বাসায় পিটার হাস

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠনের সমন্বয়কের বাসায় পিটার হাস

ঢাকা মহানগর ৩৮ (বর্তমান ২৫) নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক (২০১৩ সালে গুম হওয়া) সাজেদুল ইসলাম সুমনের মেজো বোন এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের ডাক' এর সমন্বয়ক আফরোজা ইসলাম আঁখির বাসায় গিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

আজ (বুধবার) সকাল নয়টার দিকে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল এডভাইজার সহ ৪/৫ জন কর্মকর্তাদের নিয়ে পিটার হাস আঁখিদের রাজধানীর ৫৫৩, শাহীনবাগস্থ বাসায় যান। 

রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে—জানতে চাইলে সানজিদা বলেন, ‘তিনি নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনাগুলোর তদন্ত হচ্ছে। তাই আমরা তাকে ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছি। আমরা এখন কী চাই, সেটাও তিনি জানতে চেয়েছেন।’

রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস কী বলেছেন—জানতে চাইলে সানজিদা ইসলাম বলেন, নিখোঁজের ঘটনাগুলো কীভাবে তদন্ত করা যায়, সেটা নিয়ে তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি মানবাধিকার নিশ্চিত করতেও কাজ করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র দূতের ঐ সফরের সময় হট্টগোল আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা–কর্মীবৃন্দ এবং সরকারের মদদপুষ্ট মায়ের কান্না নামের একটি কথিত সংগঠন হট্টগোল বাধায়। এ প্রসঙ্গে গুমের শিকার হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুলের বোন সানজিদা ইসলাম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস আসবেন জেনে তেজগাঁও থানার ওসি অপূর্ব হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দুই দিন (গতকাল ও আজ) আমাদের বাসায় আসেন। যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত আমাদের বাসায় প্রবেশের ৪০ মিনিট আগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা–কর্মী ও মায়ের কান্না সংগঠনের লোকজন রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। বাসা থেকে বেরিয়ে যখন তিনি গাড়িতে উঠছিলেন, তখন তারা কথা বলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে হট্টগোলও হয়। পরে তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থানা–পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় তিনি গাড়িতে উঠে চলে যান।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাত্র কিছুদিন আগে ২০১৩ সালের ০৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সুমন নিখোঁজ হয়েছিলেন। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা বলেন, সুমনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে।