দেশে গণতন্ত্রের অভাব কোথায়, প্রশ্ন শেখ হাসিনার

দেশে গণতন্ত্রের অভাব কোথায়, প্রশ্ন শেখ হাসিনার

দেশে গণতন্ত্রের অভাব কোথায়– সেই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আর কে সংরক্ষিত করতে পেরেছে? সেটাই আমি প্রশ্ন করি। এখানে গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এই কথা বলেন তাদের ভালো লাগে যখন জরুরি অবস্থার সরকার হয়, সামরিক শাসক আসে, তাদের একটু দাম বাড়ে, খোশামোদি-তোষামোদি করে। ওইটুকু পাওয়ার লোভে? ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তারা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়। তবে আমি বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিটাই বড় শক্তি। তাদের বিশ্বাস ও আস্থাটাই বড় শক্তি।

শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নতি হয়েছে। আমি জানি না যারা এখনও গণতন্ত্রের খোঁজ করেন, মনে হয় যেন দূরবীন দিয়ে ওনারা গণতন্ত্র দেখছেন। তাদের আমি জিজ্ঞেস করবো জাতির পিতার সাড়ে তিন বছর ও আওয়ামী লীগের আমল ছাড়া কবে গণতন্ত্র ছিল? ক্ষমতা তো ছিল সেননিবাসে বন্দি।

রাজনৈতিক দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামী লীগই গঠনতন্ত্র মেনে সংগঠন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে যেসব দল সেনাশাসকের পকেট থেকে গঠিত হয়েছে। যেমন বিএনপি বা জাতীয় পার্টি। আপনারা দেখবেন সেখানে গণতন্ত্রের চর্চাটা কোথায়? গঠনতন্ত্র, দলের যে একটা নিয়ম। এখন পর্যন্ত গঠনতন্ত্র আমরা অনুসরণ করি। কিন্তু আর কোনও দল, বিশেষ করে সামরিক শাসকদের পকেট থেকে তৈরি হওয়া দলে সেটা পাবেন না। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে তারা এবার গণতন্ত্রের কথা বলে। যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে। তারা আবার আমাদের গণতন্ত্রের ছবক দেয়, পরামর্শ দেয়, গণতন্ত্র নাকি আবার প্রতিষ্ঠিত করবে। মার্শাল ল দিয়ে, সারারাত কারফিউ দিয়ে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা গণতন্ত্রটা কীভাবে এবং কীসের দেয় সেটা আমি বুঝি না।

সুশীল সমাজের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশের কিছু মানুষ যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী, জ্ঞানী-গুণী বলে পরিচয় দেয়। তাদের মুখেও শুনি গণতন্ত্র নাকি আনতে হবে দেশে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে সামরিক শাসকরা মার্শাল ল দিয়ে রাষ্ট্র চালিয়েছিল, সেটাকেই কি তারা গণতন্ত্র বলতে চান নাকি? ওইটাই কি গণতান্ত্রিক ধারা? তারা কি খোলাসা করে সেটা বলতে পারে? সেটা তো করে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন থেকে এই দেশে সরকার গঠন করেছে, তখন থেকেই এই দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের অধিকার রক্ষা করে, ভাতের অধিকার রক্ষা করে, দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি করে। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় ছিল তখনই মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।