সাংবাদিক রঘুনাথের অবিলম্বে মুক্তি দাবি সিপিজের

সাংবাদিক রঘুনাথের অবিলম্বে মুক্তি দাবি সিপিজের

দীপ্ত টিভির সাতক্ষীরা সংবাদদাতা রঘুনাথ খাঁ'কে অবিলম্বে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)।

গতকাল বুধবার রাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, পুলিশ হেফাজতে রঘুনাথকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও মারধর করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১১টার দিকে সাদা পোশাকে পুলিশ কর্মকর্তারা দীপ্ত টিভি ও দৈনিক প্রজন্ম একাত্তরের সংবাদদাতা রঘুনাথকে আটক করে বলে একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এবং নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলার বিষয়ে অবগত একজন সিপিজেকে জানিয়েছেন। দক্ষিণ-পশ্চিম সাতক্ষীরার খলিশাখালী এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে প্রতিবেদন করার পর রঘুনাথকে আটক করা হয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, সূত্র থেকে জানা যায়, পুলিশ রঘুনাথসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এলাকার ভূমিহীনদের সঙ্গে সমন্বয় করে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টায় জড়িত ছিলেন। কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করেছিল যে রঘুনাথ তাদের হেফাজতে রয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রঘুনাথকে পরের দিন যখন আদালতে হাজির করা হয়, তিনি ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারছিলেন না এবং বলেছিলেন যে, পুলিশ তাকে মারাত্মকভাবে মারধর করেছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করেছে এবং ভূমিহীনদের বিষয়ে প্রতিবেদন করলে হত্যার হুমকি দিয়েছে।

বিবৃতিতে সিপিজের এশিয়া প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী বেহ লিহ ইকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের রঘুনাথ খাঁ'কে গ্রেপ্তার ও তার প্রতি অসদাচারণের অভিযোগ দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সর্বশেষ আক্রমণ মাত্র, যেখানে আইন প্রয়োগকারীরা দায়মুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে রঘুনাথকে মুক্তি দিতে হবে, তার বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং তার ওপর নির্যাতনের অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, সিপিজে বিশ্বাস করে যে ভূমিদখলকারীদের সঙ্গে ভূমিহীনদের দ্বন্দ্বে রঘুনাথের করা প্রতিবেদনের কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে লক্ষ্যবন্তু করে প্রতিশোধ নিচ্ছে এবং এতে পুলিশ সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রঘুনাথ সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক মইনুল হকের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।