হাইকোর্টে প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন আবেদন

হাইকোর্টে প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন আবেদন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আগাম জামিন আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রথম আলো সম্পাদকের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

এর আগে বুধবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়। রাজধানীর রমনা থানায় করা এই মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামান, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। মামলায় শামসুজ্জামান কারাগারে রয়েছেন। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে বুধবার ভোরের আগে শামসুজ্জামানকে তুলে নেয়া হয়। এর ২৪ ঘন্টা পরে তাকে আদালতে নেয়া হয়।

এই মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানার একজন পরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনেন বাদী আব্দুল মালেক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। 

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন। 

উল্লেখ্য, গত ২৬শে মার্চ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে উদ্বৃত করা হয়, “পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম।

বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।” এই উদ্ধৃতির সঙ্গে একটি শিশুর ছবি ছিল, যে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে স্মৃতিসৌধের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এ সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট ও খবরের স্ক্রিনশট বেশ ভাইরাল হয়। প্রতিবেদনে ওই উক্তিটি আরেক ব্যক্তির হলেও শিশুটির ছবির বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ পোস্টটি সংশোধন করলেও এই খবরটিকে মিথ্যা ও রাষ্ট্রবিরোধী উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আবদুল মালেক, যিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি।