যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শিশুসহ আরও দুজন। গতকাল শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন এ দুর্ঘটনা ঘটে। যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন—বাঘারপাড়া উপজেলা সদরের দোহাকুলা এলাকার বীরডাঙ্গাপাড়ার ফরিদুল কবিরের ছেলে আল-আমিন (২১)। তিনি বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেছেন। নিহত অন্যজন যশোর শহরের আরএন রোড এলাকার ঐশী (১৯)। এছাড়া আহত হয়েছেন ঐশীর স্বামী ইসমাইল (২২) ও দেবর তানজীম (৫)।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের নামাজ শেষে আল-আমিন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে বড়ভাই ইমনকে বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা বাজারে রেখে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যশোর-নড়াইল সড়কের চাড়াভিটা এলাকায় ইটভাটার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ইজিবাইকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় আল-আমিন সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে অপর সড়ক দুর্ঘটনায় ঐশী নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। ঐশীর শাশুড়ি আঁখি বেগম বলেন, ‘ছোট ছেলে তানজীমকে নিয়ে আমার বড় ছেলে ইসমাইল ও বৌমা ঐশী মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। পথিমধ্যে যশোর শহরের মণিহার-বকচর সড়কের র্যাব-৬ ক্যাম্পের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই বৌমা মারা যান এবং গুরুতর অবস্থায় আমার দুই ছেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভাশীষ রায় বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ওই শিক্ষার্থী এবং ঘটনাস্থলে মারা গেছেন ওই গৃহবধূ। ময়নাতদন্তের জন্য উভয়ের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’
