১৮ সালে সংলাপের একটা কথাও তারা রক্ষা করেনি : মির্জা আলমগীর

১৮ সালে সংলাপের একটা কথাও তারা রক্ষা করেনি : মির্জা আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করে তার সাথে সংলাপে বসেছিলাম। সেই সংলাপে যে সমস্ত কথা তিনি দিয়েছিলেন। সেটার একটাও তারা রক্ষা করেননি। সুতরাং ওবায়দুল কাদেরের কথায় আস্থা রাখা, বিশ্বাস করা। কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না।

আজ দুপুরে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত বিষয়টা হচ্ছে, আবার নতুন করে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। যাতে বিরোধীদলকে পুরো মাঠ থেকে বের করে দেয়া এবং তাদের যে নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে পারে। সেই নীল নকশার নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসা যায়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

এবার কি পারবে এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, একেবারে পারবে না। জনগণ আন্দোলন শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আমাদের ১৭ জন মানুষ এই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। আন্দোলন চলমান আছে। চলছে, আরো দিনে দিনে বেগবান হবে, তীব্র হবে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকার বাধ্য হবে জনগণের দাবি মেনে নিতে। রমজান মাসে আমাদের ইউনিয়ন থানা জেলা পর্যায়ে আন্দোলন হয়েছে। এক মাস কোনো আন্দোলন হয়নি- এটা ঠিক না। আন্দোলন চলছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। কখনো ওঠে আবার কখনো নামে।

এক প্রশ্নের উত্তরে মহাসচিব বলেন, আমরা কাউকে কোনো নালিশ করি না। এ কথা মনে রাখতে হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশী যারা কাজ করছেন। তাদের সাথে শুধুমাত্র রুটিন মাফিক আলোচনা হয়।

‘নির্বাচনকালীন সরকার বিএনপিকে আমন্ত্রণের বিষয়ে কথা বলেছেন’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা বিশ্বাস করেন? ‘১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করে তার সাথে সংলাপে বসেছিলাম। সেই সংলাপে যে সমস্ত কথা তিনি দিয়েছিলেন। সেটার একটাও তারা রক্ষা করেনি। সুতরাং ওবায়দুল কাদেরের কথায় আস্থা রাখা, বিশ্বাস করা কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। এটি তাদের আরেকটি চক্রান্ত জনগণকে বিভ্রান্ত করার। তারা বলবে, 'এই যে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। প্রস্তাব তারা শুনছে না, যাচ্ছে না'। আমাদের কথা পরিষ্কার, বিএনপিকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা জনগণের ভোটের অধিকারটাকে ফেরত চাই। মানুষ যেন তার ভোট দিতে পারে। গত দু’বারের নির্বাচনে মানুষ তার ভোট দিতে পারেনি। স্থানীয় নির্বাচনে তো ভোট দিতে পারে না। আগে ভোটে উৎসবের আমেজ থাকত। কিন্তু গেল একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মানে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।