বৃষ্টির হানায় রাজধানীতে ম্লান বিনোদনকেন্দ্র!

বৃষ্টির হানায় রাজধানীতে ম্লান বিনোদনকেন্দ্র!

ঈদের দ্বিতীয় দিনও রাজধানীতে বৃষ্টি নেমেছে। এতে করে বিনোদন কেন্দ্রেগুলোতে ঈদ আনন্দ অনেকটা ম্লান হয়েছে। প্রতি বছর ঈদের দিন বিকেলে বা পরদিন থেকে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মানুষ বিনোদন কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। এতে করে বাসায় বসে সময় কাটছে মানুষের।

আজ শুক্রবার (৩০ জুন) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় জাদুঘর, হাতিরঝিল, রমনা পার্ক, নভোথিয়েটার, বিজ্ঞান জাদুঘর, সামরিক জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, শ্যামলী শিশু পার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বৃষ্টির কারণে তেমন ভিড় নেই।

রাজধানীর কয়েকটি সড়ক সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ রাস্তাঘাট ফাঁকা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সড়কে গণপরিবহণের পরিমাণও কম। তবে রিকশার আধিক্য দেখা গেছে। দুপুরের দিকে বৃষ্টির হানায় রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত।

গতকাল ঈদের দিন সকাল থেকে অনবরত বৃষ্টির ফলে ভোগান্তির কবলে পড়তে হয়েছে তাদের। টানা বৃষ্টি ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে পশু জবাই করতে বেগ পেতে হয় মুসল্লিদের।

এছাড়া প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। এতে ভোগান্তির মুখে পড়েন মানুষজন। ঈদ উপলক্ষে অনেকের বাইরে ঘোরার ইচ্ছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বের হতে পারেননি।

এ বিষয়ে রাজধানীর মানিকনগর এলাকার বাসিন্দা দুলাল ভূঁইয়া বলেন, সকালের দিকে রাস্তা একদম জনশূন্য ছিল। তবে বৃষ্টি কমার পর অনেকেই বাসা থেকে বের হওয়া শুরু করেছেন। সকালে ঈদের নামাজের সময় ব্যাপক বৃষ্টি ছিল। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তারপর বাসায় গিয়ে পশু কোরবানি দিয়েছেন। বৃষ্টির কারণে পশু কোরবানি দিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সারা দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।