স্কুলছাত্র হত্যার ২১ বছর পর রায়, ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্কুলছাত্র হত্যার ২১ বছর পর রায়, ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিক পাড়া এলাকায় মোয়াজ্জেম হোসেন নামে শিশু হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল পিপি।

নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন (১৬) হত্যা মামলার ২১ বছর পর রায় ঘোষণার সময় আদলতে ৫ জন উপস্থিত ও ৬ জন আসামির অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বিচারক।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বেদারুল ইসলাম ওরফে বেদীন, সরোয়ার রওশন ওরফে সুমন, মশিউর রহমান এরশাদ ওরফে বাবু, মনোয়ার হোসেন ওরফে মনছুর, নজরুল ইসলাম, রানা, শাহী, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবলু।

তাদের মধ্যে আজ আদালতে ৫ জন উপস্থিত ছিলেন- সরোয়ার রওশন, মশিউর রহমান এরশাদ, মনোয়ার হোসেন, রানা ও শাহী। অন্য ৬ জন বেদারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবলুকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামানিক পাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বেড়ানোর কথা বলে বের হন। পরে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানতে পারে তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন জয়পুরহাট থানাধীন জামালগঞ্জ রোডের পাঁকা রাস্তা থেকে দুইশ ফিট দূরে জখম অবস্থায় পড়ে আছে।

সেখান থেকে স্থানীয়রা জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত সাড়ে ১১টার সময় মোয়াজ্জেম মারা যান। পরে নিহতের বাবা জানতে পারেন তার ছেলে মোয়াজ্জেমকে শহরের চিত্রা সিনেমা হলের পাশে থেকে ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে জখম করে আম গাছের নিচে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ২০০২ সালের ২৯ জুন জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার আদালতের বিচারক এ রায় দেন।

মামলার সরকারি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পি.পি ও উদয় সিংহ এ.পি.পি। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, নন্দকিশোর আগরওয়ালা, মোস্তাফিজুর রহমান, হেনা কবির।