৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ফের সংলাপ

৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ফের সংলাপ

ঢাকা, ৪ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবারো সংলাপে বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। আগামী বুধবার (৭ নভেম্বর) সকালে এই সংলাপ হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গণভবনে ১৪ দলের এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঐক্যফ্রন্টের থেকে আবার সংলাপে বসতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই জানিয়েছিলেন যে সংলাপের জন্য তার দ্বার উন্মুক্ত। তবে ৭ নভেম্বরের পর সংলাপ সম্ভব নয়।

“সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে ৭ নভেম্বর বেলা ১১টায় ছোট আকারে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ হবে।”

প্রথম সংলাপের ‘অসম্পূর্ণ আলোচনা সম্পূর্ণ’ করতে আবার আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রবিবারই চিঠি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

বেলা ১২টার দিকে ড. কামাল হোসেনের স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌঁছে দেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ১ নভেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে বহুল আলোচিত সংলাপে বসে ঐক্যফ্রন্ট।

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ওই আলোচনায় অংশ নেয়। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।

সেদিন সংলাপ শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ আলোচনায় বিশেষ কোনো সমাধান তারা পাননি। আর জোটের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির মির্জা আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট নন।

আবার সংলাপ চেয়ে রবিবার ড. কামাল হোসেনের চিঠিতে বলা হয়, “দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আলোচনার পরও আমাদের আলোচনাটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেইদিন আপনি বলেছিলেন, আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

“তারই পরিপ্রেক্ষিতে অসম্পূর্ণ আলোচনা সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে অতি জরুরি ভিত্তিতে আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আবারো সংলাপে বসতে আগ্রহী।”

তবে এবারের আলোচনার বিষয়বস্তু ‘সীমিত পরিসরে’ রাখার পক্ষে মত দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, “এই ক্ষেত্রে দফাগুলোর সাংবিধানিক এবং আইনগত দিক বিশ্লেষণের জন্য উভয় পক্ষের বিশেষজ্ঞসহ সীমিত পরিসরে আলোচনা আবশ্যক।”

সংলাপ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি দেওয়ার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়েছে ড. কামাল হোসেনের চিঠিতে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩০৪ঘ.)