রাস্তায় শুয়ে-বসে হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা

বুকের পাঁজরে গণতন্ত্র রক্ষার ঢাল

বুকের পাঁজরে গণতন্ত্র রক্ষার ঢাল

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : জনপ্রিয় একটি দেশাত্মবোধক গানের কথাই যেনো আবার স্মরণ করিয়ে দিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশের বুলেট, লাটিচার্জ আর টিয়ার গ্যাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বুকের পাঁজড় প্রশস্ত করে রাজপথে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে যেন জানান দিলেন- "প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।।"

বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফরম কিনতে এসেছিল দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গণতন্ত্রের এ উৎসবে জড়ো হয়েছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীসহ হাজারো মানুষ। পল্টন পরিণত হয়েছিলো জনসমুদ্রে। সেই উৎসবে ভাটা পড়লো হঠাৎ গুলি আর টিয়ার শেলের শব্দে। কোনকিছুর বুঝে উঠার আগেই পুলিশি হামলা হতবাক করে দেয় উপস্থিত হাজারো সমবেত মানুষকে।

ঠিক এই অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে-বসে হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করে বিএনপি কর্মীরা। বুকের পাঁজরে গণতন্ত্র রক্ষার দুর্গ ঘাঁটি তৈরি করে বসে দেশ মাতৃকা আর গণতন্ত্রের জন্য নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা। তাদের এ নির্ভীক চিত্তই জানান দিয়েছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য রক্ষায় তারা নিবেদিতপ্রাণ।

পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে শরীরের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে; বলেছে আমরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে এখানে আসিনি।

এই ঘটনাকে চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, এই সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সরকার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।

মির্জা আলমগীর বলেন, ‘এটা একটি চক্রান্ত। আমরা নির্বাচন করতে যাচ্ছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে নমিনেশন নেওয়ার জন্য তাদের লোকজন ভিড় করেছে, তখন কিছু করেনি।’

উসকানি দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কালকে (মঙ্গলবার) হঠাৎ করে চিঠি দিল। এই চিঠি দিয়ে আজকে পুলিশের অ্যাকশন। প্রভোকেশন (উসকানি) করে নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।’

বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের ছোড়া প্যালেট বুলেটে (ছররা গুলির মতো) বিএনপির কমপক্ষে ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল। পুলিশ রাস্তায় তাদের দাঁড়াতে দিচ্ছিল না। বেলা পৌনে একটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বড় একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা-৮ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন। ওই সময় কার্যালয়ের সামনে থেকে তার মিছিল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তবে কর্মী-সমর্থকেরা সরে না যাওয়ায় একপর্যায়ে পুলিশের গাড়ি মিছিলের ওপর উঠে যায়।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/জিএস/১৯২৬ঘ.)