ফরিদগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলি: আহত ২০, আটক ২

ফরিদগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলি: আহত ২০, আটক ২

চাঁদপুর, ১০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের মিছিলে পুলিশির লাঠিচার্জ-গুলির অভিযোগ করেছে বিএনপিপ্রার্থী এম এ হান্নান। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ আরিফ হোসেন ও ইমাম হোসেন নামে এক সাবেক ছাত্র নেতাকে আটক করে।

সোমবার বিকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুর-৪ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী আব্দুল হান্নান জেলা রির্টানিং অফিস থেকে প্রতীক পাওয়ার পর বিকালে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করার সময়ে মধ্যবাজারে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয় ও পরে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মুহূর্তের মধ্যে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

পুলিশের হামলায় আহত হন- উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ মোহাম্মদ, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমানত গাজী, সাবেক ভিপি মজিবুর রহমান, মহিলা নেত্রী ফরিদা ইয়াছমিন, শ্রমিক দলের দলের সভাপতি আজিম, বিএনপি নেতা- মানিক, নান্নু মিজি, ইকবাল হোসেন, শাহিন সহ অন্তত ২০ জন।

এছাড়া আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এস আই ওমর ফারুক, এস আই সুমন্ত মজুমদার, এস আই আবুল কালাম ও এস আই গোলাম রসুল।

বিএনপি’র প্রার্থী এম এ হান্নান বলেন, আজ আমরা মার্কা পেয়েছি। তাই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বা মিটিংয়ে বাঁধা নেই। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রচারণা নিয়ে বাজারে পৌঁছলে পুলিশ অতর্কিত হামলা করেছে। গুলিবর্ষণ করেছে। পুলিশের হামলায় উপজেলা বিএনপি’র ২০/২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এখন পুলিশ উল্টো গল্প তৈরীর পাঁয়তারা করছে। আমরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ হামলার তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি। সেই সাথে ওসির প্রত্যাহারও দাবি করছি।

এদিকে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী আচরবিধি লঙ্ঘন করে বিএনপি’র প্রার্থী হান্নান বিশাল শোডাউন নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে। এই সময় কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় এই সময় আমাদের ৪ জন অফিসার আহত হয়।

(জাস্ট নিউজ/প্রতিনিধি/একে/২২১৬ঘ.)