ভোটে অনিয়ম: এরশাদ-শিরীন শারমিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মামলা

ভোটে অনিয়ম: এরশাদ-শিরীন শারমিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মামলা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা স্বৈরাচার হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ও সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রবিবার সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

নির্বাচনে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাসদের মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ। আর স্পিকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও পীরগঞ্জ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম।

মামলার বিষয়ে জাসদ নেতা সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ‘জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জমা দেয়নি। হারিয়েছে বলে একটি জিডি জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলার তথ্যও তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। এই দুই অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে না নেয়ায় আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করি। সেখানেও বিষয়টি আমলে নেয়া হয়নি। তাই হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ওই নির্বাচন বাতিল চেয়ে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে মামলা করেছি।

অন্যদিকে, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলায় করেছি বেশ কটি অভিযোগ উত্থাপন করে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২০টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট কাস্ট দেখানো, এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, ৩ মাস আগে প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রকাশ্যে টাকা দেয়া।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়ে কোনো ফল পাইনি। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং প্রার্থীর বিজয় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি।’

মামলার দুই বাদী আরো জানান, প্রথমে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি হবে। এক থেকে দেড় মাস সময় দেয়া হতে পারে। এরপর বিবাদীপক্ষ সমনের জবাব দাখিল করবে। মোট ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার বিধান রয়েছে বলে তারা জানান।

এমআই