বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থায় নেই ওবায়দুল কাদেরের: চিকিৎসক

বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থায় নেই ওবায়দুল কাদেরের: চিকিৎসক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়, এ অবস্থায় তাকে বিদেশ নেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান।

রবিবার দুপুরের দিকে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

রবিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়।

পরে এক বিফ্রিংয়ে বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান বলেন, ‘উনি আসার সঙ্গে সঙ্গে সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। তখন রক্তচাপ স্টেবল ছিল না, আমরা সেটা স্টেবল করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এনজিওগ্রামে ওবায়দুল কাদেরের হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি আর্টারি থেকে ব্লক অপসারণ করা হয়।’

উন্নত চিকিৎসার জন্য সেতুমন্ত্রীকে দেশের বাইরে নেয়ার পরামর্শ দেওয়ার কথা জানিয়ে অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, ‘যেকোনো মুহূর্তে উনার অবস্থা অবনতির দিকে যেতে পারে। এ কারণে তাকে বাইরে পাঠানোর কথা আমরা বলেছি। আমাদের এখানেও ভালো চিকিৎসা হয়। তবে উন্নত চিকিৎসার যেহেতু শেষ নেই, সে কারণেই বিদেশে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

একটি ব্লক অপসারণের পর ওবায়দুল কাদেরের পরিস্থিতি কেমন জানতে চাইলে কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান বলেন, ‘উনি ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে আছেন। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাবে না।’

এদিকে বিএসএমএমইউ’র উপ উপাচার্য (রিসার্চ অ্যান্ড ডিভলপম্যান্ট) প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ শিকদার বলেছেন, ‘উনার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। আমরা তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তার পরিবার ও প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের জটিল হৃদরোগ নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সকাল পৌনে ৮টায় আসেন। পরে জরুরি ভিত্তিতে আমাদের চিকিৎসকরা উনাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। ’

জটিল হৃদরোগ মোকাবেলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে করোনারি এনজিওগ্রামের মাধ্যমে এবং উনার হৃদরোগের সঠিক ডায়াগনোসিসের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য তাকে ক্যাথল্যাবে নিয়ে যেতে হবে বলেও জানান উপ উপাচার্য।

এমআই