স্বাধীনতার চার দশক পরও মানুষ সুখে নেই : মির্জা আলমগীর

স্বাধীনতার চার দশক পরও মানুষ সুখে নেই : মির্জা আলমগীর

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন মধ্যরাতে ‘নজীরবিহীন’ নির্বাচনের পর সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘নাৎসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুণরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

মহান স্বাধীনতার দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘সবার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। আজ আমি সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে। যার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। গভীর শ্রদ্ধা জানাই সব জাতীয় নেতার প্রতি, যারা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ-শান্তি পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কেউ যাতে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে, নাগরিক স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ না তোলে সেজন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।’ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও ‘অপহৃত গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার’ করতে সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

এমজে/