আদালত থেকে সরাসরি ছেলের কবরে বিএনপি চেয়ারপারসন

কোকোর কবরে কাঁদলেন, কাঁদালেন খালেদা জিয়া

কোকোর কবরে কাঁদলেন, কাঁদালেন খালেদা জিয়া

ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারত করেছেন মা বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় ফাতিহা শরিফ পাঠ করে প্রিয় ছেলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন বেগম জিয়া। এরপর ছেলের কবরে পাশে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত করেন তিনি।

বুধবার আদালত থেকে গুলশানের বাসা হয়ে ছেলের কবর জিয়ারত করতে যান বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি কোরআন তেলাওয়াত করেন, ফাতেহা পড়েন। সবশেষ পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মোনাজাত করেন। এসময় বেগম খালেদা জিয়া কাঁদতে থাকেন। তার কান্না দেখে নেতাকর্মীরাও কেঁদে ওঠেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামিম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও কোকোর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় স্বজন।

 

 

পরে মোনাজাত শেষে গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতে ফিরে যান বেগম খালেদা জিয়া। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের নেতা মাওলানা আব্দুল আলিম খলিলি।

বেগম খালেদা জিয়ার সাথে এসময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অদ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, সাবেক এমপি ইয়াসমিন আরা হক, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পদক নূরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল রিয়াদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল, যুবদল দক্ষিনের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতাদের মধ্যে, মুন্সি বজলুল বাসিদ আঞ্জু, আহসান উল্লাহ হাসান, বিএনপি চেয়ারপারসনে একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার, কনের্ল (অব.) ইসহাক, অহিদ, সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এরমধ্যে ছিল কোকোর কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা।

২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ইন্তেকাল করেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো। এরপর ২৮ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে এনে বনানীতে দাফন করা হয়।

১/১১ এর জরুরী অবস্থার সময় অসুস্থ অবস্থায় গ্রেফতার হওয়া আরাফাত রহমান কোকো ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। পরে সেখান থেকে মালেয়শিয়া যান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্ত্রী সৈয়দ শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে সেখানেই ছিলেন তিনি।

 

(জাস্ট নিউজ/একে/২০০৯ঘ.)