রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৮

আবাসিক হলের গেস্ট রুমে বসা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে প্রথম দফায় মাদারবক্স হলে গেস্টরুমে এ ঘটনা ঘটে।

দ্বিতীয় দফায় হলের সামনে দুপুর দেড়টায় মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে শাখা ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী।

সবাই বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন দর্শন বিভাগের একরাম হোসেন, রিওন, মারুফ পারভেজ, রনি, জসিম, ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের লিমন, লোক প্রশাসনের সোহেল, ইতিহাস বিভাগের রাজিব। এরা সবাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী৷

অন্যদিকে মারধরের ভিডিওতে দেখা গেছে, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত মারামারির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

হল সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে হলের গেস্টরুমে লিমন তার তিনজন বান্ধবী নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে কামরুল (সাধারণ সম্পাদক অনুসারী) বসা ছিলেন। পরে লিমন তাকে সরে বসতে বলেন। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে কামরুল লিমনের মাথা ফাটিয়ে দেয়।

কামরুল ওই হলের ২১৭ নম্বর কক্ষে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লিমন কিছুক্ষণ পরে বাকির কয়েকজন অনুসারীদের নিয়ে কামরুলের রুমের সামনে গিয়ে বের হতে বললে সে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তার রুমের জানালা ভাঙচুর করে।

পরে শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব তাদের রুমের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়।

দ্বিতীয় দফায় দুপুর দেড়টার দিকে বাকির অনুসারিরা হলের সামনে অবস্থান নিলে পুনরায় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী বিভিন্ন হলের শতাধিক নেতাকর্মী।

এ বিষয়ে সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। সেখানে একবছর মেয়াদী কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটির তিন বছর পার হয়ে গেছে। এখনও শাখা ছাত্রলীগের কোনো পদ পায়নি। তিন বছর ধরেই আমার এবং ছেলেদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের নিকট বিচারের দাবি জানিয়েছি বলে তিনি জানান।

সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, গেস্টরুমে ঝামেলার পর লিমন বন্ধুদের নিয়ে কামরুলের রুম ভাঙচুর করে। পরে কামরুল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমাধান করে দিয়েছি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, গেস্ট রুমে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এমজে/