ক্যাসিনো গল্প সাজিয়ে মূল দূর্নীতি আড়াল করা যাবে না: মির্জা আলমগীর

ক্যাসিনো গল্প সাজিয়ে মূল দূর্নীতি আড়াল করা যাবে না: মির্জা আলমগীর

সরকারে যারা আছেন তারা ৭ই নভেম্বরকে স্বীকার করে না মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা স্বীকার করবে কেন? তারা তো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্রে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেখতে চায় তারা অবশ্যই ৭ই নভেম্বরকে বিশ্বাস করে এবং ধারণ করে।

শুক্রবার বিকালে মহানগর নাট্যমঞ্চে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়, আহমদ আজম খান, শমসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সেক্রেটারি হাবিবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

সরকার নিজেদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে নিয়ে গেছে ফলে তাদের চুনোপুঁটিগুলোকে ধরতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই এই চুনোপুটি ধরে আর ক্যাসিনো গল্প সাজিয়ে মূল দূনীতি থেকে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জনগণের দৃষ্টিকে আড়াল করতে পারবেন না।

সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা আলমগীর বলেন, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন এর হিসাব কোথায়? শেয়ার বাজার থেকে হাজার হাজার টাকা লুট করে নিয়েছেন তার হিসাব কোথায়? তার হিসাব থাকবে না এ কারণেই যে তার কেউ আপনাদের মন্ত্রী, কেউ আপনাদের উপদেষ্টা, আবার কেউ আপনাদের আপনজন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন সাদেক হোসেন খোকার বিভিন্ন জানাযা ছাড়া আর কোন খবর ছিল না। আজকে আমাদের পত্র-পত্রিকা গুলোতে লক্ষ্য করবেন, এটাকে বেশিরভাগ পত্রিকা ভেতরের এবং পেছনের পেজে দিয়েছেন। আমি জানি মিডিয়াগুলোকে প্রশ্ন করলে, উত্তর দেবে আমাদের করার কিছু নেই, আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ নির্দেশে করছে আবার কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে করছে কারণ এটা ছাপলে হয়তোবা তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

মির্জা আলমগীর আরো বলেন, যারা কথা বলেন তাদেরকে টেলিভিশনে ডাকা হয়না, যারা লিখেন তারা ঘর থেকে বের হতে পারেন না।

এই সরকারকে একনায়কতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকার মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর থেকে মুক্তি পেতে হবেই। মুক্তির কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে, আমার অধিকারগুলোকে ছিনিয়ে আনতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে। এর বিকল্প নেই বন্ধুগন।

তিনি আরো বলেন, কোন ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এককভাবে পরাজিত করা যায় না। সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয় এবং আমরা সেই পথেই যাচ্ছি। আমরা মনে করি সমস্ত দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই একনায়তান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হব।