খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার বিকালে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল (শেরাটন) সামনে দিয়ে সাকুরার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, ছাত্রদল নেতা আসলাম, যুবদল নেতা সোহেল প্রমুখ।

নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়েছে অন্যায়ভাবে সাজানো মামলায়। বেআইনী শাসকগোষ্ঠী ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে শুধু বর্তমান মিডনাইট সরকারের ব্যর্থতা, অনাচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাতে কোনো প্রতিবাদ উচ্চারিত না হতে পারে। দেশনেত্রীকে এখন বিনা চিকিৎসায় তিলেতিলে প্রাণনাশের গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে সরকার। তার হাত-পা ব্যথা-বেদনায় ক্রমান্বয়ে অবশ হয়ে যাচ্ছে। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না। যা খাচ্ছেন সবই বমি হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে এখন এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজমান। গণতন্ত্রকে চিরতরে দেশ থেকে বিদায়ের জন্যই গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে এখন হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। মিডনাইট নির্বাচনের পর অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর প্রধান শেখ হাসিনা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে এক ভয়াবহ দু:শাসনের বেড়াজালে জনগণকে আটকিয়ে রেখেছে। কথা বলা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরুপে হরণ করা হয়েছে। জনগণকে ভয় দেখিয়ে চিরকাল রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখার জন্যই গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা তথা রক্তপাতের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মহাদুর্নীতি ও অবাধে লুটপাট নিশ্চিত করার জন্যই একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। জনগণের ওপর চলছে ক্ষমতাসীনদের স্টিম রোলার। চারিদিকে শুধু হাহাকার ও দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই নৈরাজ্যকর অবস্থা চলতে পারে না। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে বহুদলীয় গণতন্তের কোনো অস্তিত্ব নেই। জাতিকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করতে এবং হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে ‘গণতন্ত্রের মা’ গণমানুষের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই। আমি আবারো দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

এমজে/