পুতুপুতু আর আপস করে সরকার পতন হবে না: মান্না

পুতুপুতু আর আপস করে সরকার পতন হবে না: মান্না

বর্তমান সরকারকে হটাতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামাতে হবে। গদি ছাড়াতে হলে আন্দোলন-সংগ্রাম, লড়াই করতে হবে। পুতুপুতু আর আপস করে হবে না বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

শুক্রবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মান্না বলেন, ‘যতই আন্দোলন করেন, গোলটেবিল বৈঠক, মানববন্ধন, সমাবেশ করেন-যাই করেন না কেন ওরা (আওয়ামী লীগ) গদি ছাড়বে না। ওদেরকে গদি ছাড়াতে হবে। গদি ছাড়াতে হলে আন্দোলন-সংগ্রাম, লড়াই করতে হবে, পুতুপুতু আর আপস করে হবে না।’

তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ অসহায়বোধ করছে। লঞ্চে-বাসে, মাঠে-ঘাটে কেউ আওয়ামী লীগের কথা বলে না। আমাকে অনেকেই বলে, যত যা-ই করেন উনাকে (শেখ হাসিনা) ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবেন না। আমি বলি, তিনি কি হিটলার-মুসোলিনি, হোসনে মোবারকের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর? কারও ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। সুতরাং, তাকেও একদিন ক্ষমতা ছাড়তে হবে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) সমালোচনা করে মান্না বলেন, ‘সুইচ অন করলে বাতি জ্বলবে, অফ করলে বাতি নিভে যাবে। মেশিন আমার কথামতো চলবে। মেশিন যদি নির্বাচন কমিশনারের হাতে থাকে, নির্বাচন কমিশনারের কথামতো চলবে। যে নির্বাচন কমিশনার বলে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হলে রাতের আধারে ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে না, তার অর্থ হচ্ছে-রাতের আঁধারে ভোটের সাক্ষী নির্বাচন কমিশনার নিজেই।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি খালেদা জিয়াকে স্যালুট জানাই। পত্র-পত্রিকায় দেখছি, কেউ কেউ বলছে, উনি প্যারোলে যাবেন। পত্রিকায় পড়েছি, তার বাম হাত বাঁকা হয়ে গেছে, ডান হাত বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও তিনি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করছেন না। উনি বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের জন্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শেষ পর্যন্ত আমি আছি। বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে মুক্তি দিতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।