এম এ হক’র ইন্তেকালে তারেক রহমান ও মির্জা আলমগীরের শোক

এম এ হক’র ইন্তেকালে তারেক রহমান ও মির্জা আলমগীরের শোক

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ হক’র ইন্তেকালে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর শোকবার্তা-
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ হক শুত্রবার সকাল সাড়ে দশটায় সিলেট নর্থ-ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফুসফুসের সংক্রমণ, করোনা উপসর্গ ও হৃদরোগে অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। এম এ হক’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দূঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।

এক শোকবার্তায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মরহুম এম এ হক সাহেব ছিলেন সিলেট বিভাগে একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। ব্যক্তিজীবনে একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে তিনি কখনোই নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুৎ হননি। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণকে বুকে ধারণ করে বিএনপি’র জন্মলগ্ন থেকে দলকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মরহুম এম এম হককে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা অভিভাবক হিসেবে মান্য করতেন। বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে মরহুম এম এ হকের মতো একজন উদার ও সজ্জন নেতার অনুপস্থিতি সিলেট বিএনপি’র জন্য এক বড় ধরণের ক্ষতি। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একজন দক্ষ সংগঠক মরহুম এম এ হক বারবার রাজরোষে পড়া সত্বেও দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে থাকতেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

রাজনৈতিক জীবনে মামলা-হামলা ও গ্রেফতারসহ নানা জুলুম সহ্য করেও তিনি কর্তব্যকর্মে ছিলেন অবিচল। মানুষের প্রতি গভীর ভালবাসা ও জনকল্যাণের মহান ব্রত নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই সিলেটবাসী তাঁকে আপনজন মনে করতেন। ব্যবসায়ী হিসেবে পেশাগত জীবনে তিনি সুনাম অর্জন করেছিলেন। সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবার নানা মাত্রিক কাজের সাথেও তিনি নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন।

গণতন্ত্র এবং মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকল আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভূমিকা ছিল সকল নেতা-কর্মীর জন্য প্রেরণার উৎস। তাঁর মতো আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি। আমি মরহুম এম এ হক এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর শোকবার্তা-
অপর এক শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশ ও দলের প্রতি মরহুম এম এ হকের অবদানের কথা সিলেটবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন স্মরণ করবে। তাঁর রাজনৈতিক ও পেশাগত সকল কর্মকান্ডের মূলে ছিল নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। তাঁর রাজনীতির মূল উপজীব্য ছিল সমাজসেবা। শত প্রতিকুলতার মধ্যেও তিনি নীতি ও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুৎ হননি। সৎ রাজনীতিবিদের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত মরহুম এম এ হক ছিলেন বিনয়, সাহস ও শিষ্টাচারের মিলিত রুপ। নিরন্তর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি সিলেট বিভাগে বিএনপি-কে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন।

দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তিনি ছিলেন একান্তজন। শহীদ জিয়ার গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণ ছিল তাঁর রাজনৈতিক পথপরিক্রমার অন্তনির্হিত শক্তি। তাঁর জীবন ও রাজনীতি ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতি বিএনপি’র অঙ্গীকার বাস্তবায়নে একজন সাহসী সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মরহুম এম এ হক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকেছেন স্বৈরাচারের উৎপীড়ণ ও শত নির্যাতন সহ্য করেও। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও মহামারীর মধ্যে না ফেরার দেশে চলে তাঁর চলে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের। বিএনপি দলের একজন দক্ষ ও যোগ্য নেতাকে হারালো, সিলেটবাসী হারালো তাদের একজন প্রকৃত সুহৃদকে।

আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’