সিলেটে ধর্ষণের ঘটনাই প্রমাণ করে দেশে কেউ নিরাপদ নয় : মির্জা আলমগীর

সিলেটে ধর্ষণের ঘটনাই প্রমাণ করে দেশে কেউ নিরাপদ নয় : মির্জা আলমগীর

সিলেটের এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণের ঘটনাই প্রমাণ করে এই দেশে কেউই নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই ঘটনা নতুন নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধর্ষণের ঘটনা এমনভাবে ঘটছে যে, আমরা অতীতে কখনো এমনটা দেখিনি। সবচাইতে লজ্জার ব্যাপার আওয়ামীলীগের মতো একটা পুরনো দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। যাদের একটা অতীত ঐতিহ্য আছে। এই সংগঠনের নেতারাই এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছে। এটা ছাত্রলীগের চরিত্রগত একটা ব্যাপার আছে।

আজ রবিবার গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ সমস্ত ঘটনাই প্রমাণ করে এই দেশে কারো নিরাপত্তা নেই। এই দেশে যতো ধরণের নৈরাজ্য চলছে সেটা আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে। আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে, আামাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে চললো। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এই ধরণের নৈরাজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। আজকে খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের সঙ্গে মিলে এই ধরণের অপরাধগুলো করছে। এই যে কক্সবাজারে এতো পুলিশ সদস্যের বদলি প্রমাণ করে ওইখানে যে সকল ক্রসফায়ারগুলো হয়েছে এগুলো সবই পরিকল্পিতভাবে হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ একটা দিক দিয়ে সফল হয়েছে যে তারা এই দেশের সকল মানুষের মনে একটা ত্রাস, ভীতি তৈরী করতে পেরেছে। ভয় সৃষ্টি করতে পেরেছে। আজকে সমাজের প্রত্যেকটা স্তরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করা হচ্ছে। এক সময় যারা উচ্চ কন্ঠে কথা বলতেন তাদের ধাবিয়ে দেয়া হয়েছে। তারাও এখন কথা বলছেন না। আমি যে আপনাদের সামনে কথা বলছি এটাও বিপদজনক। আমি যে ফোনে কথা বলি এটা ২৪ ঘন্টাই রেকর্ড হয়। পরে এটা প্রিন্ট করা হয়। এই কল রেকডিংয়ের প্রিন্টের কপিও আমি দেখেছি।

আপনারা দেখবেন যতো ধরণের অপকর্ম ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এই সব ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।

মির্জা আলমগীর বলেন, এই সরকারের ওপর জনগণের আস্থা যখন শূন্যের কোঠায়, তখন জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, বিএনপি’র ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত মিথ্যাচার চলেছে। এই মিথ্যাচার দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের যে স্বপ্ন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছিল, যে চেতনা ধারণ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করেছিলো তাকে নস্যাৎ করার একটা অপচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক চ্যানেলে সরকারের নির্দেশে সম্পূর্ণ বিকৃত, বিকারগ্রস্থ মানসিকতায় তথা কথিত নাটক নামে পরিবেশন তারই একটি অংশ। আওয়ামী লীগ বল পূর্বক ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে ইতিহাস বিকৃত করে ভবিষ্যত প্রজন্ম তথা জনগণের সামনে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম নিয়ে মিথ্যা ও ভুল তথ্য পরিবেশন করছে।

এমজে/