ধর্ষক ক্ষমতাসীন দলের হলে আইনের প্রয়োগ কতটুকু হবে তা চিন্তার বিষয় : নজরুল ইসলাম

ধর্ষক ক্ষমতাসীন দলের হলে আইনের প্রয়োগ কতটুকু হবে তা চিন্তার বিষয় : নজরুল ইসলাম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ধর্ষণের মত অপরাধের কঠিন সাজা হওয়া উচিৎ বলে আমরাও মনে করি। ধর্ষক যখন ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংযুক্ত থাকে তখন এই আইনের প্রয়োগ কতটুকু যথাযোগ্য হবে তা চিন্তার বিষয়। এ ধরনের জঘন্য অপকর্মের সাথে যখন সরকারি দলের লোকজন সংযুক্ত থাকে তখন আইন যতো কড়াকড়ি হোক না কেন তার বাস্তবায়ন নিয়ে দুশ্চিন্তা জনগণের মাঝে থেকেই যায়। আমরা আশা করবো এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ হবে এবং ধর্ষণের অভিশাপ থেকে আমাদেরকে মুক্ত হতে হবে।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভার পর্যন্ত কোটিপতি হয়ে যায়। আর সেই বিভাগের প্রশংসা করতে হবে? তাহলে কোন বিভাগ আর যোগ্যতা প্রমাণের জন্য চেষ্টা করবে। ট্রাম্প যে চিকিৎসা পাচ্ছে বাংলাদেশের জনগণও সেই চিকিৎসা পাচ্ছে- আমার কাছে অবাক লাগে আমাদের মন্ত্রী সাহেবরা শিক্ষিত লোক হয়ে কিভাবে এ রকম কথা বলেন। তারা কষ্টের মধ্যে মানুষকে হাসায়। তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কাজের মাধ্যমে মানুষকে সুখ দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য। কাতুকুতু দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য তাদের তো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। আমাদের উচিৎ যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা দেশকে স্বধীন করেছিলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা একদলীয় স্বৈরশাসনের পরিবর্তে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলাম, যেই স্বপ্ন নিয়ে আমরা স্বৈরাচার পতনের জন্য অব্যহত নয় বছর আন্দোলন করেছি, যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব গণতন্ত্র পুঃনপ্রতিষ্ঠা করেছিলাম, যে আবেগ নিয়ে আমরা তথাকথিত ১/১১ এর সরকারকে হটিয়ে একটা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্টা করেছিলাম সেই স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ একটাই, সেটা হলো জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করবে যেনো সেই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। সে রকম একটি সরকার কায়েমের লক্ষ্যে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে পারি তাহলেই আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, যে সরকার প্রকৃতপক্ষে জনগণের ভোটে নির্বাচিতই না, যে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ব্যাংক লুট বন্ধ করতে পারেনি, শেয়ার মার্কেট লুট বন্ধ করতে পারেনি,এমনকি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ওটা পর্যন্ত লুট হয়ে গেছে। যে সরকারের আমলে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে এবং সেই টাকা সুইচ ব্যাংকে যাচ্ছে, সেকেন্ড হোম হচ্ছে, বেগম পাড়া হচ্ছে, সরকার দলের লোকজনের আলমারি খুললে কোটি কোটি টাকা, সিন্দুক খুললে কোটি কোটি টাকা, বাক্স খুললে কোটি কোটি টাকা, তাদের খাটের নিচে ত্রাণের সামগ্রী এসব কিছুই ঠেকাতে পারতেছে না। তাই আমাদের আধিকার আদায়ে লড়াই করতে হবে। আর সেই লড়াই হবে গণতান্ত্রিক লড়াই, জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই। আর সে লড়াইয়ের নেতৃত্ব অতীতে যেমন দিয়েছে বিএনপি, বিএনপির নেতা শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়া, ঠিক এবারও বিএনপিই দিবে, বেগম খালেদা জিয়াই দিবে এবং আমাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়াই দিবে।

এমজে/