রাজধানীতে দুস্থদের মাঝে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের খাবার বিতরণ

রাজধানীতে দুস্থদের মাঝে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের খাবার বিতরণ

বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার মহান ঘোষক এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় গরিব ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

আজ শনিবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর হর্টিকালচার সংলগ্ন এলাকায় জেডআরএফ’র উদ্যোগে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে খাবার বিতরণ করেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

পরে মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট এলাকা, ধানমন্ডির তাকওয়া জামে মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্ত্বর এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গরিব অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রায় চার শতাধিক গরিব অসহায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জেডআরএফ গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী মাহবুব আলম, সদস্য কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, প্রকোশলী মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার সৈয়দ ইজাজ কবির মনন, ডাঃ সাজিদ ইমতিয়াজ, শফিকুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আসিফ হোসেন রচি সহ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন তুষার প্রমুখ।

এসময় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র, ভোটাধিকারে বিশ্বাসী একজন নেতা ছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শনের মাধ্যমে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের মধ্যাকার ভেদাভেদ দূর করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু এখন তা অবশিষ্ট নেই।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, আর বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। তাই যে লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরে দেওয়াই এবারের জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের মূল লক্ষ্য। অর্থাৎ জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে এবারের শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ।

উল্লেখ্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে একটি উপ কমিটি গঠন করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। এই কমিটির উদ্যোগে তিন দিনের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ ২৯ মে (শনিবার) খাবার বিতরণ ছিল প্রথম দিনের কর্মসূচী। আগামীকাল ৩০ মে রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সংলগ্ন জিয়ার মাজার জিয়ারত এবং মঙ্গলবার (১ জুন) জেডআরএফের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এমজে/