২০১৪ সালে ভোট হয়নি, ২০১৮ তে ভোট ডাকাতি: বিএনপি

২০১৪ সালে ভোট হয়নি, ২০১৮ তে ভোট ডাকাতি: বিএনপি

‘২০১৪ সালে একটা নির্বাচন হয়েছে, যেখানে কোনো ভোটই হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন সাংসদ জয়ী হয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। তখনো একটি আলোচনা (সংলাপ) করেছিল। এখন আবার সেই আলোচনা শুরু করেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হলে এই সংলাপ অর্থহীন। এই সংলাপে সংকটের সমাধান হবে না।’

মঙ্গলবার বিকালে মানিকগঞ্জ শহরে সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে সমস্যা নয়; বরং নির্বাচনের সময় সরকারে কে থাকবে, সেটা নিয়েই সমস্যা। নির্বাচনের সময় যদি আওয়ামী লীগ সরকার থাকে, তাহলে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। দেশের রাষ্ট্রপতিকে সবাই সম্মান করে। কিন্তু সেই রাষ্ট্রপতি যদি জনগণের সঙ্গে প্রতারণার সুযোগ করে দেন, তাহলে সেটা দেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না। এই সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে আছে। খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। সরকার মিথ্যাচার করছে। দেশে ৪০১ ধারায় আইন আছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারে। এক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন বিভাগে ও জেলার প্রায় ৩০টি স্থানে বিএনপির সমাবেশ হয়েছে। এসব সমাবেশে লাখো মানুষ চিৎকার করে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে; কিন্তু এই সরকারের কানে এটা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকার জানে, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এলে তাদের এই মসনদ (ক্ষমতা) থাকবে না।

খালেদা জিয়াকে যদি সুচিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া হয় এবং তাঁর কোনো কিছু ঘটে গেলে, এর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। তিনি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্না কবিরের সঞ্চালনায় এ সভায় বিএনপির ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ মঈনুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।