সংলাপে যাবে না বিএনপি

সংলাপে যাবে না বিএনপি

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপে অংশগ্রহণ না করার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোটাধিকার হরণ’ হয়েছে উল্লেখ দিনটি উপলক্ষে আগামীকাল দেশব্যাপী মানবন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। গত সোমবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যতিরেকে সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কোনো নির্বাচন কমিশনই করতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট নিজেই বলেছেন, তার কোনো ক্ষমতা নেই পরিবর্তন করার। সেই কারণে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারবে না। বিএনপি অর্থহীন কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিএনপি মনে করে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ব্যতীত নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপ শুধু সময়ের অপচয়।

বিগত দুইটি নির্বাচন কমিশন গঠনের পূর্বে প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছিল। বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব লিখিতভাবে প্রেসিডেন্টের কাছে পেশ করেছিল। কিন্তু সব উদ্যোগই ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলীয় সরকার বহাল রেখে নির্বাচন কমিশন কখনই স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে না।’
বিজ্ঞপিএত আরো বলা হয়, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ‘নিশিরাতে ভোটাধিকার হরণের’ তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে এবং ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সোমবারের ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।