গাজী মাজহারুল আনোয়ার আমাদের মাঝে একটি নক্ষত্র : মির্জা আলমগীর

গাজী মাজহারুল আনোয়ার আমাদের মাঝে একটি নক্ষত্র : মির্জা আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার আমাদের মাঝে একটি নক্ষত্রের মতো ছিলেন বাতিঘর।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং কিংবদন্তি গীতিকার চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশন।

তিনি বলেন, তার ব্যবহার অমায়িক। কারো বিরুদ্ধে কখনো সমালোচনা করতে শুনিনি। চরম বেয়াদব মানুষ তার বিরুদ্ধে কখনো লেখালেখি করলেও তিনি উচ্চ বাক্যে তার বিরুদ্ধে কিছু বলেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বপ্ন দেখা ছাড়া ভালো গান লেখা যায় না। স্বপ্ন দেখা ছাড়া ভালো কবিতা লেখা লেখা যায় না। তেমনি স্বপ্ন দেখা ছাড়া একটি ভালো রাষ্ট্র নির্মাণ করা যায় না। তাই সেই স্বপ্ন দেখা মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, টিকিয়ে রাখতে হলে, তাদেরকে তৈরি করতে হলে রাষ্ট্রের প্রটেকশন দরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যত উন্নয়ন তার ভিত্তিটা স্থাপন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আর সেটা গাজী মাজহারুল হক খুব ভালো করে জানতেন। এই সমস্ত সৃষ্টিশীল ও সৃজনশীল মানুষেরা যখন রাজনীতির পরিমণ্ডলে আসে তখন তারা পুরোপুরি মূল্যায়ন পায় না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আবারো সেই সংগ্রাম করে লড়াই করে সেই বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই যে বাংলাদেশকে হারিয়েছি।

তিনি বলেন, জাতির জন্য দুর্ভাগ্য ’৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার যে গান, অনুপ্রাণিত করার যে গান তার মধ্যে গাজী মাজহারুল ইসলামের অনেক গান রয়েছে। সে জাতিকে আজ এই শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সরকার বিভক্ত করে ফেলেছে। এটা শুধু আজকে করছে তা নয়, ’৭২ সালের পরে যখন তারা ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা এই কাজটি করেছিল। আজকে আবার এই ১২ থেকে ১৫ বছরে গোটা জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সমাজকে একেবারে নষ্ট করে ফেলেছে মিথ্যাচার, অনাচার দুর্নীতি। আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে যে একটি পার্লামেন্ট গঠন হবে, সরকার গঠন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণ অংশ নিতে পারে না, তবে সেটা কিসের নির্বাচন?

ফখরুলের অভিযোগ, বিচারালয় গিয়ে বিচার পাওয়া যায় না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে নিরাপত্তার পাওয়া যায় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় বিএনপি করলে উল্টা মামলা দিয়ে দেয়।

ফখরুল বলেন, এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আজকে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অবস্থা থেকে রক্ষা করা কি শুধু বিএনপির দায়িত্ব। বিএনপির চেষ্টা করছে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে কিন্তু সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এর ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যে স্বপ্ন তা নষ্ট হচ্ছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে পথ তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এসবের জন্য আজকের শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে দায়ী বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।