জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, ‘একজন উপদেষ্টা কিছুদিন আগে হাসি হাসি মুখে বললেন—আপনাদের ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ এখন বিদ্যুৎ দিতে পারছি না, তেল কিনতে পারছি না, গ্যাস কিনতে পারছি না। আমার প্রশ্ন হলো—কেন কিনতে পারছেন না। আপনাদের রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল?’
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন বলেছে, পৃথিবীতে ৪৪টি দেশ খাদ্য সংকটে পড়বে। এশিয়ার ৯টি এবং দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশ যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
এজন্যই প্রধানমন্ত্রী বলছেন, খারাপ দিন আসছে, তাই সবাই খাদ্য উৎপাদন করুন—উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘এ কথা তো সবাই জানে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন পরামর্শ দরকার হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন হচ্ছে, কেন তেল কিনতে পারছে না সরকার? রিজার্ভের টাকা কোথায় গেলো?’
জিএম কাদের বলেন, ‘যত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হোক সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন কমিশন ভোটের বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়, কিন্তু সেগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। আসলে সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছা নেই।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুননু এমপি বলেছেন, ‘১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি যে অত্যাচার করেছে জাতীয় পার্টির ওপর এখন তারা ফিরে পাচ্ছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে পরিত্রাণ চায়।’
তিনি বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদকে কিছু মানুষ ভুল বুঝিয়ে ঝামেলে পাকাতে চায়। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। পার্টি থেকে দু’একজন চলে গেলে জাতীয় পার্টির কোনও ক্ষতি হবে না।’
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না। জাতীয় পার্টি আরও বিকশিত হচ্ছে, দেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শক্তি।’
উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল হোসেন, হারুন অর রশীদ, মমতাজ উদিদন, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু প্রমুখ।